প্রকাশ: 05/11/2022
গাইবান্ধার ৫১ টি কেন্দ্রের অনিয়মের
তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে ইসির হাতে রয়েছে। বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরা দেখে
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এদিকে, ফরিদপুর-২ আসনের
উপ নির্বাচনে কোনো ধরনের অনিয়ম নেই জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সেই সঙ্গে গাইবান্ধা অনিয়মের ‘এক তৃতীয়াংশ’
তদন্ত প্রতিবেদন পেলেও পুরো প্রতিবেদন নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শনিবার নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা
পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের একথা বলেন সিইসি।
সকাল আটটা থেকে ফরিদপুর-২ আসনের উপ
নির্বাচন চলছে। বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোট হবে। স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি
এ আসনের সবকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ মিলিয়ে ১০৫২টি সিসি ক্যামেরায় ভোট দেখছেন সিইসি ও অন্য
নির্বাচন কমিশনাররা।
দুপুরে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের
কাছে পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনিয়ম একেবারেই দেখছি না। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে
ফরিদপুর উপ নির্বাচন হচ্ছে।’
তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামুলক কম দেখা
যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
‘যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সিসি ক্যামেরায়
দেখলাম শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।…সিসি ক্যামেরায় একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। সিসি ক্যামেরায়
ভোট করা নতুন একটি সংযোজন। যেটা নিয়ন্ত্রণ ও ইলেকটরাল গভার্নেন্সকে আরো বিস্তৃত করবে।’
গাইবান্ধা উপ নির্বাচন প্রতিবেদন পুরোটা
করে ‘সমন্বিত সিদ্ধান্ত’।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি জানান, তদন্ত
প্রতিবেদন পুরো করে গাইবান্ধা উপ নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৭-১০ দিন সময়
লাগবে।
তিনি জানান, ৫১টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন
তারা পেয়েছেন; বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনও এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলা হয়েছে
আগের কমিটিকে।
‘তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে।
কমিশন সভা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল। শনিবার আজকে বসে আমরা রিপোর্টগুলো দেখেছি। প্রতিবেদনের
বিষয়ে মন্তব্য করছি না।’
সিদ্ধান্ত হচ্ছে-বাকি ৯৪ টি ভোটকেন্দ্রের
পরিস্থিতিও তদন্ত কমিটি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দেবে বলে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল
আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি সিসি
টিভি যে ফুটেজ রয়েছে তা দেখে একটা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন আমাদের কাছে দেবে; এ জন্যে
এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগের কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিলে টোটাল গাইবান্ধার
উপরে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
দিয়ে সিইসি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন। ৭-১০ দিন সময় লাগবে। খণ্ডিত প্রতিবেদন পেয়েছি,
পুরোটার তদন্ত প্রতিবেদন দরকার।’
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭