ইনসাইড গ্রাউন্ড

সেমিফাইনালের পথ কেমন ছিলো নিউজিল্যান্ডের?


প্রকাশ: 07/11/2022


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্ব শেষ। জমজমাট ব্যাট-বলের লড়াইয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলে এসেছে নকআউট পর্বে। মাঠের খেলার সাথে এবার দলগুলোকে যুদ্ধ করতে হয়েছে বিশ্বকাপের তৃতীয় প্রতিপক্ষ বৃষ্টির সাথে। অনেকগুলো ম্যাচের ফল নির্ধারণে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে প্রকৃতি।

ছয় দলের লড়াই শেষে গ্রুপ-১ থেকে এবারের আসরের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। তবে সে পথটা সহজ ছিলো না কোন দলের জন্যই। পেন্ডলামের মতো দুলেছে শেষ চারের ভাগ্য। প্রতিপক্ষকে আটকে রাখার পরিকল্পনার পাশাপাশি প্রকৃতির দিকেও করুণার আকুতি ছিলো সবার।

প্রথম দল হিসেবে এবারের আসরের সেমিফাইনালে উঠে নিউজিল্যান্ড। সুপার টুয়েলভের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় গত আসরের দুই ফাইনালিষ্ট অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সে ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের একরকম উড়িয়ে দেয় কিউইরা। আগে ব্যাট করে ডেভন কনওয়ের অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ওভার শেষে অজিদের সামনে ২০১ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১১১ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ৮৯ রানের বড় জয় পায়  নিউজিল্যান্ড। ব্যাট-বলে দাপট দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এক যুগ পর জয়ের দেখা পায় আগের আসরের রানার্সআপরা।

দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ছিলো আফগানিস্তান। তবে মেলবোর্নে সে ম্যাচটি ভেসে যায় বৃষ্টিতে। মাঠে গড়ায় নি একটি বলও। তাই নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুই দলকে।

পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামে কেন উইলিয়ামসনের দল। সে ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপাকে পড়লেও গ্লেন ফিলিপসের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় কিউইরা। পরে ট্রেন্ট বোল্টের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাড়াতে পারেনি লঙ্কানরা। ৬৫ রানের জয় নিয়ে আসরে শতভাগ জয়ের রেকর্ড ধরে রাখে নিউজিল্যান্ড।

তবে চতুর্থ ম্যাচে আসরে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পায়  ব্ল্যাক ক্যাপসরা। ব্রিসবেনে সে ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিলো ইংল্যান্ড। এগিয়ে থেকেই ইংলিশদের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল কিউইরা। জিতলে সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যেতো উইলিয়ামসন-সাউদিদের। তবে ইংল্যান্ডের জন্য ম্যাচটি ছিলো বাঁচা মরার লড়াই। হেরে গেলে শেষ চারের সমীকরণ আরো কঠিন হয়ে পড়তো ইংলিশদের জন্য। আগে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের সামনে ১৮০ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাটলার-স্টোকসরা। তবে টার্গেট তাড়ায় ১৫৯ রানে থামে কিউইদের ইনিংস। ২০ রানে জয় পায় ইংল্যান্ড।

শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভের সফল সমাপ্তি টানে নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১৮৫ রান তোলে তাসমান পারের দেশটি। আইরিশরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেও ম্যাচটি হেরে যায় ৩৫ রানে। ফলে সেমিতে উঠতে নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক সেরে রাখে নিউজিল্যান্ড। পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল আফগানিস্তানের। অজিদের ব্যাটিং ইনিংস শেষ হতেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় বোল্ট-সাউদিদের। কারণ রানরেটে কিউইদের ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল না আর কারোরই।

৫ ম্যাচ শষে ৩ জয় ও ১ হারে ছয় পয়েন্ট পায় নিউজিল্যান্ড। একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় যোগ হয় আরো ১ পয়েন্ট। ২.১১৩ রানরেটও বাকিদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে দিয়েছে কিউইদের। ৯ নভেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭