ইনসাইড বাংলাদেশ

যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অকারণে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশ: 07/11/2022


Thumbnail

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ৭ নভেম্বর ক্যু’র নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছিল। এ হত্যার বিচার এখনও হয়নি। তবে তাদের আত্মীয়-স্বজনরা জীবিত থাকতেই বিচার দেখে যেতে পারবেন। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অকারণে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবেই।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সেই ভয়াবহ দিনের স্মরণে ‘৭ নভেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের আলোচনা সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ একটা ধ্বংসস্তূপ ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকে কোনো টাকা ছিল না। এই যে আমরা জামাকাপড় পরেছি সেগুলোর জন্য সেই সময় লাইন ধরে দাঁড়িয়েছিলাম। আজকে সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ কতটা উন্নত হয়েছে। এই উন্নয়নের পেছনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলোকেই তার কন্যা শেখ হাসিনা সম্পন্ন করছেন। তার রক্ত যার শরীরে বইবে তারা তো ঘুরে দাঁড়াবেই। এটা বুঝতে পেরেই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ঘাতকরা। সেদিন সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। তারপরও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু পারেনি। তারা চার নেতাকে হত্যা করেছে। মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদের হত্যা করেছে। তাদের বিচার হবেই।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ১৯৭৫ সালের পনের আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই জেলখানার অভ্যন্তরে ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর ঠিক চারদিন পরই সাত নভেম্বর থেকে শুরু হয় মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যাকাণ্ড। এইসব হত্যাকাণ্ড একই সুতোয়, একই ধারাবাহিকতায় গাঁথা এবং জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে একজন অনুপ্রবেশকারী। যিনি পাকিস্তানের সাথে হাত মিলিয়ে করেছিলেন দীর্ঘমেয়াদি ও সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র।

তিনি আরও বলেন, যেই দলগুলো ’৭১ এ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন, বাঙ্গালীদের হত্যা করেছে এবং স্বাধীনতার পর জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, ৩ নভেম্বর, ৭ নভেম্বর এবং ১৯৭৭ সালে বিনাবিচারে হত্যা করেছে সেই দলগুলো বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করার সুযোগ আছে বলে মনে করিনা।

বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের কন্যা নাহিদ ইজাহার খান, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তমের কন্যা মাহজাবিন খালেদ এবং বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং সশস্ত্র বাহিনীতে হত্যাকাণ্ড বিষয়ের গবেষক আনোয়ার কবির।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭