ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন বানচাল করতে চায় সুশীলরা


প্রকাশ: 08/11/2022


Thumbnail

বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন কিভাবে অনুষ্ঠিত হবে এই নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন সরগরম অবস্থা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিভিন্ন অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী এবং সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে তাদের অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে যে, বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়, সকল দলের অংশগ্রহণ চায় এবং নির্বাচনে যেন জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে চায়। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসেছিলেন এবং তিনি প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়ে গেছেন। কিন্তু মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় ছিল, সুশীলদের সাথে বৈঠক। যে বিষয়টি নিয়ে মার্কিন দূতাবাস বা সুশীলরা কেউই কথা বলেনি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সুশীল সমাজের সাথে কাজ করছেন। সুশীল সমাজ আগামী নির্বাচন নিয়ে কি করতে চায়, সে ব্যাপারটিও ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। সুশীল সমাজের মধ্যে একটি অংশ আগামী নির্বাচন বানচাল করতে চায়, এমন সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ এখন ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। কারণ, আগামী নির্বাচন যদি শেষ পর্যন্ত বানচাল করা যায় তাহলে একে-এগারো মতো পরিস্থিতি বা সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। সেজন্যই সুশীলরা সেদিকেই মনোনিবেশ করেছে বলে জানা গেছে।

বর্তমানে সুশীল সমাজের একটি অংশ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একাধারে সরকারের সমালোচনা করছে, নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করছে এবং ইভিএমের সমালোচনা করছে। ড. ইউনূস, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. আসিফ নজরুল, ড. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানরা বাংলাদেশে যেন আগামী নির্বাচন না হয় সেজন্য একাট্টা হয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে তারা বিএনপিকে ব্যবহার করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সুশীলদের নিয়ন্ত্রিত পত্রিকাগুলো বিএনপির আন্দোলন এবং সমাবেশের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করছে এবং এক ধরনের বিএনপি'র মুখপাত্রে পরিণত হয়েছে অন্তত দুটি সুশীল নিয়ন্ত্রিত দৈনিক। এই পত্রিকাগুলো বিএনপির আন্দোলনকে বেগবান করার ক্ষেত্রে যা যা করণীয় তার সবকিছুই করছে। এই প্রেক্ষিতেই ধারণা করা হচ্ছে যে, সুশীলরা বিএনপিকে মাঠে নামিয়ে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন কাজে প্রশংসিত হলেও সুশীলরা নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করাও সুশীলদের একটি অংশ। পাশাপাশি তারা ইভিএম নিয়েও সমালোচনা করছে। একইভাবে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে সরকার ব্যর্থ হচ্ছে, এমন কথাবার্তা বললেও জনগণের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে সুশীলরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে যেখানে বিএনপিসহ আরও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো নির্বাচন না করার ব্যাপারে একটি কঠোর অবস্থানে যায়, আওয়ামী লীগ যেন নির্বাচনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ একঘরে পড়ে। আর এইরকম একটি পরিস্থিতি যদি সৃষ্টি করতে পারে তাহলেই ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন বানচাল করা সম্ভব। আর সেটি যদি শেষ পর্যন্ত বানচাল করতে পারে তাহলে সুশীলদের ক্ষমতার দুয়ার খুলে যায় বলে তারা মনে করছে। এরকম একটি পরিকল্পনা থেকেই সুশীল সমাজ বিভিন্ন দূতাবাসের সঙ্গে এবং বিএনপির সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে নানা রকম যোগাযোগ করছে বলে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭