ইনসাইড বাংলাদেশ

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বহি:বিশ্ব


প্রকাশ: 09/11/2022


Thumbnail

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। কারণ বিএনপির এখন আগের চেয়ে বেশি সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে সারাদেশ ব্যপাী সরকার বিরোধী আন্দোলন করছে। তারা আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকারের পতন ঘটাবে বলে ঘোষণা করেছে। আর এই লক্ষ্যে বিএনপি এখন রাজপথে সক্রিয় হয়ে কর্মসূচি দিচ্ছে এবং এ সমস্ত কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। অন্যদিকে ঘরে বসে নেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগও। দলটি এখন স্থানীয় কমিটির সম্মেলন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করলে বিএনপিকে ছাড় দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, আগামী ১০ ডিসেম্বর ফাইনাল খেলা হবে। রাজপথের এই উত্তাপ শুধু রাজপথেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। সীমানা অতিক্রম করে ডিসেম্বরে রাজপথের খেলা নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদের অধিবেশনও। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোও বিএনপিকে প্রতিহত করতে নড়েচড়ে বসেছে। আগামী ১১ নভেম্বর ঢাকায় মহা যুব সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগ। আগামীতে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহানগরীগুলোতে জন সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগও। সব কিছু মিলিয়ে রাজপথে এখন দেশের প্রধান দুই বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মসূচি নিয়ে সক্রিয় আছে। এমন বাস্তবতায় দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। তারা বলছেন সামনে হয়তো দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের এমন পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়েছেন দেশের অর্থনীতি বিশ্লেষকরাও। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও শঙ্কার কথা জানিয়েছেন তারা। বিশেষ করে বাংলাদেশ যখন আইএমএফ এর কাছে ঋণ সহায়তা চেয়েছে তখন এই বিষয়টি সামনে এসেছে। কারণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি স্থিতিশীল না থাকে তাহলে আইএমএফ এর ঋণ পাওয়া কঠিন হতে পারে। তবে অর্থনীতি বিশ্লেষকদের শঙ্কায় জল ঢাললেন আইএমএফের মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দ। তিনি সাফ জানিয়েছেন দিয়েছেন যে, আইএমএফের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক দীর্ঘ এবং অত্যন্ত ভাল। আমরা শুধু অর্থনৈতিক বিষয়গুলো পর্যালোচনা করি। রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আমরা পর্যালোচনা করি না। তাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বা নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। অন্যদিকে দুইদিনের বাংলাদেশ সফরে করে গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং নির্বাচনে যেন জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে সেটি দেখতে। আর এ জন্য যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলেও আশ্বাস দেয়। তবে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো ধরনের উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা জানান নি। ফলে বিশ্লেষকরা বলছেন বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বহি:বিশ্বের তেমন কোনো উদ্বেগ নেই। ববং বর্তমান রাজনৈতিক চর্চা দেশের গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করবে, আরও বিকশিত করবে। কারণ এখন দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর তাদের কর্মসূচি পালন করছে। যা গণতন্ত্র চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক মহল।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭