ইনসাইড বাংলাদেশ

‘তারেক থাকলে আমরা নাই’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 01/02/2018


Thumbnail

তারেক জিয়াকে নিয়ে বিএনপিতে অস্বস্তি এবং মত বিরোধ চরম আকায় ধারণ করেছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহে দলের স্থায়ী কমিটি এবং সিনিয়র নেতাদের পাশ কাটিয়ে তারেক জিয়ার টেলিফোন নির্দেশনায় দল চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারেকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে এমন তরুণ নেতারা সিনিয়র নেতাদের মানছেন না। প্রকাশ্যে তাঁদের অপমান করছেন। আন্দোলনের ব্যাপারে সিনিয়র নেতাদের অন্ধকারে রেখে তরুণদের নির্দেশনা দিচ্ছেন তারেক। বিএনপির স্থায়ী কমিটির চারজন সদস্য এরকম ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ তারেক জিয়ার নাম রেখেছেন ‘দ্য নটোরিয়াস’। স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘তারেক থাকলে আমরা নাই।’ বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এখবর নিশ্চিত করেছে।

বেগম জিয়ার দুর্নীতির মামলার রায়ের প্রেক্ষাপটে বিএনপিতে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রায়ের পর সম্ভাব্য আন্দোলনের কৌশল নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটি বসেছে। ২০ দলও বসেছে। ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির নির্বাহী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলছেন, এসব বৈঠক স্রেফ ‘আই ওয়াশ’। ৮ ফেব্রুয়ারির আগে এবং পরে বিএনপি কি করবে সে ব্যাপারে আমাদের অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। সবকিছু করা হচ্ছে তারেকের নির্দেশে।’ এমনকি ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন বিএনপি কি করবে সে সম্পর্কে দলের সিনিয়র নেতারা এখনো কিছু জানেন না।

বিএনপির সূত্রগুলো বলছে, লন্ডন থেকে তারেক জিয়া বিভিন্ন নেতা এমনকি কর্মীকে টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছেন। কোথায় দাঁড়াতে হবে, কি করতে হবে ইত্যাদি। একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ৩০ জানুয়ারি পুলিশের গাড়িতে আক্রমণ তারেকের নির্দেশেই করা হয়েছে। ওই ক্যাডারদের পুলিশকে আক্রমণ করার নির্দেশদাতাও ছিলেন তারেক জিয়া। দলের সিনিয়র নেতাদের না জানিয়েই ঢাকায় তারেক রায়ের আগে পরে কি করবে তা ঠিক করেছেন এবং সে অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন।

বিএনপির একাধিক সূত্র বলেছে, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, লে: জে: (অব:) মাহাবুবুর রহমান এবং নজরুল ইসলাম খানের মতো সিনিয়র নেতারা ঘটনায় বিরক্ত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেছেন, ‘রাজনীতি কোনো ছেলে খেলার বিষয় নয়। আর এটাতো বিএনপির অস্তিত্বের পরীক্ষা। এখানে নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। ‘একাধিক নেতা বলেছেন ‘রায়ের পর দলের নেতৃত্ব কীভাবে পরিচালিত হবে, আন্দোলনের কৌশল কি হবে এসব বিসয়ে আমরা কেউ কিছু জানি না।‘ অন্য একজন নেতা বলেছেন ‘তারেক সাহেব যদি দেশে থাকতেন তাহলে সমস্যা ছিল না, কিন্তু তিনি থাকেন বিদেশে। তিনি নিজে চাইলে যোগাযোগও করা যায় না। এর ফলে দলের বিভ্রান্তি ছড়ানো সহজ হচ্ছে। কে তারেকের লোক, কে সরকারের লোক বুঝব কীভাবে?’



Read in English- http://bit.ly/2ntIE10

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭