ইনসাইড পলিটিক্স

সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য জোর লড়াইয়ে ২ মন্ত্রী


প্রকাশ: 10/11/2022


Thumbnail

একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং মন্ত্রী, অন্যজন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং মন্ত্রী। দুই জনই আওয়ামী লীগের ভাগ্যবান নেতাদের অন্যতম যারা একসাথে মন্ত্রিত্ব এবং দলের নেতৃত্ব দুটিই পেয়েছেন। এই দুইজনই এবার সাধারণ সম্পাদক প্রত্যাশী। সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী। আর এই পদের জন্য তারা এক ধরনের প্রচারণাও করছেন। বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে সরব দেখা যাচ্ছে। ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের ভাগ্যবান মন্ত্রী। একসময় তিনি সরকারি চাকরি করতেন, প্রকৃচির নেতা ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তিনি চাকরি ছেড়ে দেন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীর দ্বৈত পাসপোর্ট থাকার কারণে তিনি মনোনয়ন অযোগ্য হন। এই সময় ড. রাজ্জাক আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান। তারপর তাকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর এমপি হয়েছেন, ২০০৯ সালে মন্ত্রী হয়েছেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পদও পেয়েছেন। এখন তিনি প্রেসিডিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার নাম আলোচনা হচ্ছে। তিনি নিজেও এই পদের জন্য আগ্রহী বলে জানা গেছে এবং এই আগ্রহ নিয়ে তিনি কোনো লুকোচুরির করছেন না। বরং বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে তিনি এক ধরনের নীরব প্রচারণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। সুশীল সমাজের মধ্যে ড. রাজ্জাকের একটি গ্রহণযোগ্যতা আছে। সুশীলদের অনেকেই মনে করেন যে, ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে আওয়ামী লীগের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। কিন্তু যেহেতু তিনি প্রকৃচি থেকে এজন্য অনেকে তাকে আওয়ামী লীগার ভাবতে নারাজ। যদিও ছাত্র জীবনে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

অন্যদিকে ড. হাছান মাহমুদের উত্থানও নাটকীয় ভাবে। ওয়ান-ইলেভেন যে সমস্ত আওয়ামী লীগের নেতাকে পাদপ্রদীপে এনেছে তাদের মধ্যে ড. হাছান মাহমুদ অন্যতম। ২০০১ সালের পর আওয়ামী লীগ সভাপতির ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন ড. হাছান মাহমুদ। এরপর বন ও পরিবেশ সম্পাদক এবং ধাপে ধাপে তিনি আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতায় পরিণত হয়েছেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের বাইরেও তিনি সরকারের অন্যতম মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর সরব বক্তব্য এবং বিরোধী দলের প্রতি আক্রমণাত্মক উচ্চারণ আওয়ামী লীগের একটি অংশে তাকে জনপ্রিয় করেছে। তিনিও এবার সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য অন্যতম দাবিদার এবং সেই দাবিকে সামনে রেখেই তিনিও বিভিন্ন মহলে প্রচার-প্রচারণা করছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর তার প্রতি নীরব সমর্থন আছে, এমনটি শোনা যায়। এই সমস্ত সমর্থন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বিবেচনার ক্ষেত্রে কতটুকু সহায়তা দিবে সেটি নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি যে যোগ্য হবেন, এটা প্রমাণের জন্য তিনি নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর। কাউন্সিলে নতুন সাধারণ সম্পাদক কে হবেন বা বর্তমান সাধারণ সম্পাদক কি আবার তৃতীয় দফায় সাধারণ সম্পাদক হবেন কিনা তা নিশ্চিত হবে। তার আগে যে সমস্ত নেতারা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে বেশ ভালোমতোই দৃশ্যমান রয়েছেন তাদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং ড. হাছান মাহমুদ অন্যতম।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭