খুলনার যুব জাগরণের নেপথ্যের নায়ক, যার খুলনায় আগমনে হাজারো যুবক উচ্ছ্বাসে আপ্লুত হয়, উদ্বেলিত হয়, যার উপস্থিতি হাজারো যুবককে আলোড়িত করে, অনুরণিত করে, যাকে একনজর দেখতে হাজারো যুবকের ঢল নামে খুলনার শেরে বাংলা রোডস্থ "শেখ বাড়ি" তে। দুঃসময়ের শত অবহেলিত, অসহায় কর্মী যার মানবিকতায়, উদারতায় এবং বদান্যতায় চির কৃতজ্ঞ, চিরঋণী।
যার স্থান অযুত মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়, আবেগে আর অনুভূতিতে- খুলনার মানুষের অতি আপনজন, যুবরাজনীতির অহংকার, তারুণ্যের প্রচণ্ড উচ্ছ্বাস এবং অনুপ্রেরণা, মানবিক যুবনেতা, যুবলীগের সম্মানিত প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বারবার নির্বাচিত পরিচালক, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, শ্রদ্ধাভাজন শেখ সোহেল উদ্দীন ভাইয়ের আজ জন্মদিন।
খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের অভিভাবক শেখ সোহেল ভাইয়ের উদ্যোগে করোনা মহামারীর দু'বছর নগরের শতশত মানুষকে ফ্রি অক্সিজেন ও এ্যাম্বুলেন্স সেবা পেয়েছেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা শতশত করোনা আক্রান্ত রোগীকে দেওয়া হয়েছে ফলমূল সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী, মহানগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ছিন্নমূল মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে রান্না করা খাবার, পুরো রমজান মাস জুড়ে বিতরণ করা হয়েছে ইফতার সামগ্রী। খুলনার মানুষ আজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে তার এই অবদানকে স্মরণ করবে।
একসময় খুলনা ছিল খুনি, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা ছিল না। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য আর খুনের ঘটনা ঘটত অহরহ। এই শহরে খুন হয়েছেন সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য মানুষ। খুলনা এখন আর খুনের নগরী নয়, নিরাপদে, স্বাচ্ছন্দ্যে বাসযোগ্য শান্তির নগরী। এখন আর শহরে মাদকের দৃশ্যমান আখড়া নেই। নেই চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, টেন্ডারবাজদের দৌরাত্ম্য। গত প্রায় এক যুগে খুলনায় ঘটেনি তেমন কোন রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, জীবন হারাতে হয়নি কোন সাংবাদিককে।
ছিনতাই, চাঁদাবাজির ঘটনা এখন নেই বললেই চলে। টেন্ডারবাজদের আর দেখা যায় না সরকারি অফিস, আদালতে। রাজনৈতিক সংঘাত, সহিংসতা ও নেই। কয়েকবছর আগেও ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্যে অনেকে ছিল অতিষ্ঠ। ভূমিদস্যুরা রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছিল। অন্যের জমি, ঘর-বাড়ি বিভিন্ন কলাকৌশলে দখল করে নিরীহ মানুষকে হয়রানি করত। ভূমিদস্যুদের সর্বগ্রাসী অপতৎপরতা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। এই কৃতিত্বের প্রায় পুরোটাই যুবস্পন্দন শেখ সোহেল ভাইয়ের।
তাই কৃতজ্ঞ খুলনাবাসীর পক্ষ থেকে অফুরান শুভেচ্ছা এবং অনিঃশেষ শুভ কামনা শ্রদ্ধাভাজন প্রিয় ভাইয়ের জন্মদিনে।