ইনসাইড বাংলাদেশ

বাঙালি জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছিলো যেদিন


প্রকাশ: 12/11/2022


Thumbnail

আজ ১২ নভেম্বর। দেশের ইতিহাসে কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল দিবস। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর সপ্তম জাতীয় সংসদে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ নামক ইতিহাসের কালো আইনটি বাতিল করা হয়। এর ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ সুগম হয় এবং কলঙ্কমুক্ত গোটা বাঙালি জাতি। আর ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইকোর্ট কর্তৃক সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনি ব্যবস্থা থেকে শাস্তি এড়ানোর জন্য বাংলাদেশে ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করা হয়েছিল, যা দেশের ইতিহাসে ডার্কেস্ট ল’ বা সবচেয়ে কালো আইন নামে পরিচিত।

১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এ ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে খন্দকার মোশতাক হন দেশের রাষ্ট্রপতি। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধুর খুনি ও তাদের দোসররা নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের হত্যাকে আইনসিদ্ধ করতে চেয়েছিল। তাই তখন খুনিদের ‘প্রয়োজনে’ জারি করা হয় ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ। যেহেতু তখন দেশে সংসদ অধিবেশনে ছিল না, তাই খন্দকার মোশতাক আহমেদ কর্তৃক ১৯৭৫ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি অধ্যাদেশের আকারে এ আইনটি প্রণীত হয়; যা ১৯৭৫ সালের অধ্যাদেশ নম্বর ৫০ নামে অভিহিত ছিল।

আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ রাষ্ট্রপতি হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর হত্যার ১ মাস ১০ দিন পর ২৬ সেপ্টেম্বর খুনীদের বাঁচানোর জন্য সংবিধান পরিপন্থী ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে। পৃথিবীর এমন কোন দেশ নাই যে, তাদের সংবিধানে লেখা নাই খুনীদের বিচার কার যাবে না। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনীদের বাঁচাতেই কালো আইন করা হয়। জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। জাতীয় সংসদের আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বিল বাতিলের জন্য দি ইনডেমিনিটি রিপিল্ এ্যাক্ট -১৯৯৬ নামে একটি বিল উত্থাপন করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ নবেম্বর কুখ্যাত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার বিচারের পথ প্রশস্ত হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর ইনডেমনিটি বিল বাতিলের পর বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়। বিচারিক আদালত ও উচ্চ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। যার মধ্যে ৬ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। একজন বিদেশে পলাতক অবস্থায় মারা গেছে। বাকি ৫ জন এখনও বিদেশে পলাতক রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭