ইনসাইড পলিটিক্স

১০ ডিসেম্বর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে জামায়াত?


প্রকাশ: 12/11/2022


Thumbnail

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজনীতিতে উত্তাপ-উত্তেজনা বাড়ছে। ওইদিন কি হবে তা নিয়ে নানামুখী আলাপ-আলোচনা, জল্পনা-কল্পনা চলছে। যদিও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, জনগণের ক্ষতি সাধন করে, জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এমন কোনো কর্মসূচি প্রতিহত করা হবে। আগামী পয়লা ডিসেম্বর থেকে রাজপথে থাকবে আওয়ামী লীগ, এমন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিভিন্ন পর্যায়ে বিজয় উৎসব পালন করবে। প্রতিদিন পাড়ায়, মহল্লায়, ওয়ার্ডে নানা রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাছাড়া ৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগের অন্যতম অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের সম্মেলন। সবকিছু মিলিয়ে ডিসেম্বর মাসে রাজপথেই থাকবে আওয়ামী লীগ। আর এ কারণেই বিএনপির এই মহাসমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছে। আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির পাল্টাপাল্টি অবস্থান রাজপথে সহিংসতা এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তাপ-উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এরকম পরিস্থিতিতেই শেষ পর্যন্ত কি হয় তা নিয়ে নানারকম অনিশ্চয়তা কাজ করছে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে জামায়াতের একটি গোপন পরিকল্পনা কথা ফাঁস হয়ে গেছে। জামায়াত আগামী ১০ ডিসেম্বর আওয়ামী বিএনপির জনসভায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জামায়াত ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। গত কিছুদিন ধরেই বলা হচ্ছে যে বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই। আর এই সম্পর্ক না থাকার বিষয়টি জামায়াত প্রকাশ্য করলেও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু করেনি। যদিও ২০ দলের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে এবং বিএনপি এখন যে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপ করেছে সেই সংলাপে জামায়াতকে রাখেনি। কিন্তু প্রকাশ্যে যাই হোক না কেন জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গোপন সম্পর্ক এখনও রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যেহেতু জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য সম্পর্ক নিয়ে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আপত্তি রয়েছে এ নিয়ে বিএনপির সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিএনপি সম্পর্কে বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। সে কারণেই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপি প্রকাশ্য কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছে না। কিন্তু প্রকাশ্যে কর্মসূচি না করলেও বিএনপি এবং জামায়াতের গোপন সম্পর্ক যে রয়েছে তা বুঝা যায় বিভিন্ন মহাসমাবেশ। প্রতিটি মহাসমাবেশে জামায়াতের কর্মীদের উপস্থিতি লক্ষণীয় এবং এই মহাসমাবেশ গুলোতে জামায়াত তার নিজস্ব অবস্থান থেকেই অংশগ্রহণ করছে। যদিও বিএনপি নেতারা বলছেন যে, জামায়াতের উপস্থিতি সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। তারা বলছেন যে, যেকোনো সাধারণ নাগরিক এ ধরনের সমাবেশে আসতে পারে। কাজেই, এটি জামায়াত না অন্য কেউ সেটি বিচার করা আওয়ামী লীগের পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু বিএনপি যাই বলুক না কেন জামায়াত বিএনপির এই সমস্ত মহাসমাবেশ গুলোতে যেমন লোক যোগাচ্ছে তেমনি আসন্ন ঢাকা মহাসমাবেশকে ঘিরে জামায়াতের প্রস্তুতি রয়েছে। একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে যে, বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায়, অলিগলিতে জামায়াত সশস্ত্র অবস্থায় থাকবে। জামায়াতের ১০ ডিসেম্বর নিয়ে তিনটি পরিকল্পনার কথা এখন পর্যন্ত জানা গেছে। প্রথমত, জামায়াতের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীদের গোপনে ঢাকায় এসে সমবেত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, জামায়াত তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় লালিত-পালিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করবে এবং এই জঙ্গি সংগঠনগুলো ১০ ডিসেম্বর এবং তার আগে-পরে নানারকম নাশকতা করার জন্য প্রস্তুত থাকবে। তৃতীয়ত, ১০ ডিসেম্বর অলিতে-গলিতে, পাড়া-মহল্লায় জামায়াত অবস্থান নিবে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে। এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়ে জামায়াত যখন এগুচ্ছে, তখন রাজনীতিতে সহিংসতার শঙ্কা নতুন করে বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭