ইনসাইড পলিটিক্স

হঠাৎ বিএনপিতে মানি ইজ নো প্রবলেম


প্রকাশ: 13/11/2022


Thumbnail

বিএনপি এখন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে তারা মহাসমাবেশ করছে। সর্বশেষ মহাসমাবেশটি করেছে ফরিদপুরে। এইসব মহাসমাবেশে আগের দিন থেকে লোকজন আসছেন, হাজার হাজার লোকজনের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং সমাবেশে আসা প্রতি ব্যক্তিকে মাথাপিছু ২ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। একটি স্বাভাবিক হিসাব করে দেখা গেছে, একটি মহাসমাবেশ করতে বিএনপির ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। যে দলটি কদিন আগে অর্থকষ্টে ভুগছিল, টাকার অভাবে কর্মসূচি করতে পারছিল না সেই দলটিতে এত টাকা আসছে কিভাবে। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোলন-সংগ্রামে এমনকিছু প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি অর্থ যোগাচ্ছেন যারা আওয়ামী লীগের আমলে ফুলে-ফেঁপে উঠেছেন, আওয়ামী লীগের সময় নানা রকম ব্যবসা করে অনেক ধনী হয়েছেন। তারা এখন নিজেদের সম্পদ সুরক্ষার জন্য একদিকে যেমন বিএনপিকে গোপনে টাকা দিচ্ছে, অন্যদিকে লন্ডনে টাকা পাঠাচ্ছে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, কয়েকটি প্রধান প্রধান শিল্প গ্রুপ ছাড়া যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো একসময় হাওয়া ভবনের ঘনিষ্ঠ ছিল পরবর্তীতে আবার আওয়ামী লীগ আমলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠতার সুযোগে পাওয়ার প্লান্ট, ব্যাংকসহ নানা রকম ব্যবসা হাতিয়ে নিয়েছে তারা এখন গোপনে গোপনে বিএনপিকে অর্থায়ন করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী যিনি একসময় এফবিসিআই এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আওয়ামীপন্থী ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি পরিচিত, তিনি এখন সরকারের সমালোচনায় মুখর থাকেন এবং তিনি বিভিন্নভাবে বিএনপিকে সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়। একইভাবে ব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত অন্তত দুজন ব্যক্তি যারা একাধিক ব্যাংকের মালিকানা তারাও এখন বিএনপিকে গোপনে অর্থায়ন করছেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরকম অভিযোগগুলোর ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খতিয়ে দেখছে এবং কারা অর্থ কিভাবে জোগান দিচ্ছেন সেই তথ্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে।

তবে লক্ষণীয় ব্যাপার হলো যে, যারা এই সমস্ত অর্থের জোগান দিচ্ছেন তাদের সকলের সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সরকারের এক ধরনের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। প্রকাশ্যে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেও গোপনে গোপনে তারা এখন বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মহল মনে করছেন যে, যেহেতু দেশে অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছে এ কারণেই কিছু কিছু হঠাৎ ফুলে-ফেঁপে ওঠা ব্যবসায়ীরা মনে করছেন যে, তাদের অর্থ-সম্পদ নিরাপদ রাখার জন্যই বিরোধী দলের সঙ্গে একটা যোগাযোগ রাখা দরকার। এই যোগাযোগ রাখতে গিয়ে তারা বিরোধী দলকে বিভিন্ন ধরনের অর্থ দিচ্ছেন। তবে ভিন্নমতও পাওয়া গেছে। একাধিক অভিযোগ রয়েছে যেখানে বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বিএনপি নেতারা টেলিফোন করে হুমকি দিচ্ছেন, ভবিষ্যতে তাদেরকে দেখে নেয়া হবে বলে ভয় দেখাচ্ছেন। আবার কোথাও কোথাও সরাসরি লন্ডন থেকে টেলিফোন করে হুমকি দেয়া হচ্ছে। এ সমস্ত ভয়-ভীতি, হুমকির কারণে অনেকে টাকা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭