প্রকাশ: 14/11/2022
টি-টোয়েন্টির বর্তমান যুগে ব্যাটসম্যানদের দাপটই দেখা যায় বেশি। বিশেষ করে ডেথ ওভারগুলোতে বোলারদের দিতে হয় কঠিন পরীক্ষা। গত চার বছরে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ডেথ ওভারে সবচেয়ে খরচে দল ইংল্যান্ড (১০.২৪)। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় এবারের বিশ্বকাপে ‘ডেথ ওভার পরীক্ষা’য় লেটার মার্ক পাবেন ইংল্যান্ডের বোলাররা। ভারত ছাড়া স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদদের হাতখুলে খেলতে পারেনি কোনো দলই। বিশেষ করে কারেনের প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো।
বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল এবং একইসঙ্গে টুর্নামেন্ট
সেরার পুরস্কারও জিতেছেন স্যাম কারেন। চলতি আসরে ৬ ম্যাচে ১১.৩৮ গড় ও ৬.৫২ ইকোনমি রেটে
১৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। মূলপর্ব থেকে সবচেয়ে বেশি উইকেট তারই। ফাইনালে পাকিস্তানকে ভুগিয়েছে কারেনের বোলিং। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ৩
উইকেট। ডট বল দিয়েছেন ১৫টি।
নিজের বোলিং কৌশল নিয়ে কারেন বলেন,
‘স্কয়ার বাউন্ডারি অনেক বড়। আমি চেষ্টা করেছিলাম ওদের সেদিকটায় খেলাতে। আমার মনে হয়,
উইকেট যতটা ভালো থাকার কথা ততটা ভালো ছিল না। আমি স্লোয়ার বল করে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত
করার চেষ্টা করেছি।’
বিশ্বকাপে স্যাম কারেনকে ডেথ বোলার
স্পেশালিস্ট হিসেবে খেলানোর বাজিটা পুরোপুরিই জিতে গেছে ইংল্যান্ড। এ নিয়ে কারেন বলেন,
‘অসাধারণ একটা টুর্নামেন্ট কাটালাম। জীবনে প্রথমবার কোনো বিশ্বকাপ খেলতে এসে চ্যাম্পিয়ন।
এর আগে ডেথ ওভারে তেমন বল করিনি। এই জায়গায় আমি আরও উন্নতি করতে চাই। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন
হওয়া কতই না সুন্দর!’
দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে ফাইনাল পর্যন্ত
৬টি কমপ্লিট ম্যাচের মধ্যে শুধু একটিতে শেষ ৫ ওভারে ৪০-এর বেশি রান দিয়েছিল ইংল্যান্ডের
বোলাররা। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে ৬৮ রান খরচ করে তারা। এছাড়া বাকি পাঁচটিতে ইংল্যান্ডের
খরচ সর্বোচ্চ ৩৬ রান।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে
শেষ পাঁচ ওভারে ২৬ রানে ৬ উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ড। পার্থের ওই ম্যাচে স্যাম কারেন
১০ রানে নেন ৫ উইকেট। মেলবোর্নে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৫ রানে
হারলেও ডেথ ওভারে চমৎকার বল করেছিল ইংল্যান্ড। ৩০ রানে তুলে নেয়ে ৭ উইকেট। ব্রিসবেনে
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৩৬ রান খরচ করে ৩
উইকেট তুলে নেয়।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ
ম্যাচটি জিততেই হতো ইংল্যান্ডকে। সিডনিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে যেন আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন
ইংলিশ বোলাররা। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ ৫ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ
করে মাত্র ২৫ রান। অ্যাডিলেডে সেমিফাইনালে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি কারেনরা। ভারতের
বিপক্ষে ৫ ওভারে ৩ উইকেট নিলেও রান খরচ করেন ৬৮। যেখানে ১৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ছিল
১০ রান। তবে হেলস-বাটলারের মহাকাব্যিক জুটির কারণে খরুচে ডেথ ওভারের কোনো বাজে ইমপ্যাক্ট
পড়েনি ম্যাচে।
মেলবোর্নে ফাইনালে আবার স্বরুপে ফেরে
ইংল্যান্ড। শেষ পাঁচ ওভারে মাত্র ৩১ রান দিয়ে কারেন-জর্ডানরা তুলে নেন ৪ উইকেট। পাকিস্তান
আটকে যায় ১৩৭ রানে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭