ইনসাইড পলিটিক্স

হঠাৎ যেভাবে অর্থ বিত্তে ফুলে-ফেঁপে উঠলো বিএনপি


প্রকাশ: 16/11/2022


Thumbnail

গত ২৮ জুলাই ২০২১ সালে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি। হিসাবে দেখানো হয়েছে, ২০২১ সালে দলটির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি, ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান ও এফডিআর থেকে এ টাকা আয় হয়েছে। একই সময়ে দলটির ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, ক্রোড়পত্র বিল, অফিস খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ টাকা ব্যয় হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, গত বছর বিএনপি আয়ের চেয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা বেশি ব্যয় করেছে। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী দলটি অর্থ সংকটে রয়েছে। অথচ সেই দলটি এখন সারাদেশে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে। একেকটি সমাবেশ করতে যেয়ে প্রায় ৮  থকে ১০ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানা গেছে। কোনো কোনো সমাবেশে ১২ কোটি টাকা পর্যন্ত খরচ হওয়ার তথ্য জানা গেছে। এর মধ্যে একটি বড় পরিমাণ খরচ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় থেকে সমাবেশে লোক ভাড়া করে আনার ক্ষেত্রে। প্রশ্ন উঠেছে কোটি টাকা ঘাটতিতে থাকা দলটি এতো টাকা পাচ্ছে কোত্থেকে?

খুলনায় বিএনপি গণসমাবেশ করতে যেয়ে দলটির কর্মীদের দ্বারা রেলস্টেশন ভাঙচুর, স্টেশনের নিরাপত্তা কর্মী ও পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ সমস্ত মামলার তদন্ত করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে গোয়েন্দা তথ্য সূত্রে জানা গেছে। জানা গেছে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেখানে যে আরাম-আয়েশ জীবনযাপন করছে তার অর্থের জোগান হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। এই অর্থের একটি উৎস হচ্ছে কমিটি বাণিজ্য, মনোনয়ন বাণিজ্য। কিন্তু বিগত সালগুলোতে একাধিক নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কারণে সে অর্থের যোগান বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে এখন তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি বিভিন্ন সন্মেলন করছে, কমিটি ঘোষণা করছে, কমিটি বাণিজ্য আবার জমে উঠেছে।

খুলনায় বিএনপির নামে হওয়া মামলার তথ্যানুন্ধান করতে যেয়ে জানা গেছে, বিএনপি এখন যে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে তা করতে লন্ডন থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর পেছেনে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে বলে অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। বিএনপির এ সমস্ত বিভাগীয় সমাবেশ করার পেছেনের কারণ হলো চাঁদাবাজা করা। তারেকের নির্দেশে বিএনপি গণসমাবেশ করে এটি জানান দিতে চায় যে বিএনপি এখন সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্তিশালী। অচিরেই তারা সরকারের পতন ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসবে। এর জন্য সরকার পতনের একটি তারিখও বিএনপি ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি সরকার পতনের খবর পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দেশের বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাছে। আর তাদের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। চাঁদা না দিলে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে নিজেদের ব্যবসার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিএনপিকে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে দেশের বড় বড় একাধিক শিল্প গ্রুপ। এ সমস্ত চাঁদাবাজির মাধ্যমে শতশত কোটি বিএনপির তহবিলে জমা হচ্ছে। এর একটি বড় অংশ লন্ডনে যাচ্ছে তারেক রহমানের কাছে এবং কিছু অংশ দিয়ে বিভাগীয় গণসমাবেশ করা হচ্ছে। এ ধরনের একাধিক অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পেয়েছে বলে জানা গেছে। এ সমস্ত অভিযোগ এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে। সরকারের মন্ত্রিসভার তথ্যমন্ত্রীও এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছেন বলে গত ১৬ অক্টোবর তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭