ইনসাইড বাংলাদেশ

ব্যাংকে টাকার সংকট, শুধুই গুজব


প্রকাশ: 16/11/2022


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ও ব্যাংক গুলোতে টাকার সংকট নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে চায়ের দোকান সব জায়গাতেই চলছে এই নিয়ে চর্চা। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু হলেও বর্তমানে দেশের প্রথমসারির প্রায় সব গণমাধ্যমেই চলছে এই বিষয় নিয়ে তোলপাড়।একদিকে মূল্যস্ফীতি ও আমানতের বাড়তি ৬ শতাংশ সুদের চাপ  অন্যদিকে ব্যাংকে টাকা রাখলে বিপদে পড়বে আমানতকারীরা এমন বিভ্রান্তিমূলক তথ্যের ছড়াছড়ি। এরূপ অবস্থায় বিপাকে পড়ছেন গ্রাহক। এমনকি ব্যাংকের আমানত সুরক্ষিত আছেন কি না তা নিয়েও আছেন আতঙ্কে।

এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধরণের তথ্য অপপ্রচার মূলক বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এবং বলেছে ব্যাংকে অর্থের কোনো সংকট নেই। বর্তমানে ব্যাংক খাতে প্রায় ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা তারল্য আছে। জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই সকল তথ্য কেবলই ষড়যন্ত্রমূলক। এমনকি ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে কোনো আমানতকারী যাতে খালি হাতে ফিরে না যান, সেইজন্য ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদেরও সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি এও জানিয়ে দিয়েছে কোনো ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়লে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংককে সহায়তা দেবে। 

জনমনে শঙ্কা সৃষ্টিকারী এইসকল তথ্য ব্যাংকিং সেক্টরের তারল্যে প্রভাব ফেলতে পারে ধারণা করা হলেও বাংলা ইনসাইডার  সরেজমিনে বেশ কিছু ব্যাংক যেমন, পূবালী ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, ডাচ বাংলা, ইউনাইডেড কমার্শিয়াল, এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মেঘনা প্রভৃতি ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছেন যে, এরূপ গুজবে আদৌতে তাদের কাজকর্মে বড় ধরণের কোনো প্রভাব পড়েনি৷ প্রথম দিকে কিছু গ্রাহক বিভ্রান্ত হয়ে 'এফডি আর' ভেংগে টাকা তুলে নিয়েছিলো পরবর্তীতে দেখা গিয়েছে দুইদিন পর তারাই পুনরায় ব্যাংকে টাকা জমা রেখেছেন। ব্যাংকিং সেক্টরে টাকা সংকট এই তথ্য পুরোপুরি গুজব এবং এই ধরণের কোনো সমস্যা ভবিষ্যতেও হবার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন ব্যাংক এবং এ টি এম বুথ গুলোতে লেনদেনে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন  কি না জানতে চাইলে একাধিক গ্রাহক জানিয়েছেন, প্রতিদিনের লেনদেনে তারা টাকার সংকট সংক্রান্ত কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হয়নি এবং তাদের প্রাত্যদিক লেনদেন অব্যাহত রয়েছে আগের মত ই। এই ধরণের তথ্য মূলত জনগনকে বিভ্রান্ত এবং ব্যাংক পাড়ায় তারল্যসংকট ঢেকে আনার উদ্দেশ্য প্রচার করা হচ্ছে। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এই যুগে গুজব মহামারীর রূপ ধারণ করেছে। মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যাচ্ছে ছোট থেকে বড় সকল বিষয়। মাত্র কয়েক ক্লিকেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে মানুষের চিন্তাভাবনা, বিবেকবোধ।  তথ্যের অতিমারির এই যুগে কোনো ধরণের তথ্য বিশ্বাস করা এবং শেয়ার করার পূর্বে  তা যাচাই করে নেওয়া একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭