ইনসাইড বাংলাদেশ

এতো দেরিতে ‍শুদ্ধি অভিযান কেন?


প্রকাশ: 16/11/2022


Thumbnail

বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনামলে গড়ে উঠা হাওয়া ভবনের আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা মো. আলী হোসেন ফকিরকে আজ বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখা-১ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত ৩১ অক্টোবর ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিম ও সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর আলম নামে দুইজন পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছে সরকার। তারও আগে  গত ১৮ অক্টোবর তিন পুলিশ সুপারকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তারা হলেন সিআইডির পুলিশ সুপার মির্জা আব্দুল্লাহেল বাকী, পুলিশ সদরদপ্তরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন মিয়া ও মো. শহিদুল্লাহ চৌধুরী। আর এই বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া শুরু হয় গত ১৬ অক্টোবর তথ্য সচিব মকবুল হোসেনকে দিয়ে। 

বাধ্যতামূলক অবসর দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা না হলেও সরকারের বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এদের প্রতেক্যের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী বলয়ের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিশেষ করে মকবুল হোসেন গত মার্চে লন্ডন সফরে গিয়ে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও মকবুল হোসেন এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে তা অস্বীকার করেছেন। আর পুলিশ বাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এরা প্রত্যেকে হাওয়া ভবনের বিশেষ সুবিধা ভোগী ছিলেন বলে গোয়েন্দা সংস্থার প্রাপ্ত তথ্যসূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

হাওয়া ভবনের বিশেষ সুবিধা ভোগী কর্মকর্তাদের তালিকা আস্তে আস্তে দীর্ঘ হওয়াতে এখন প্রশ্ন উঠেছে এতো দেরিতে কেন হাওয়া ভবনে শুদ্ধি অভিযান শুরু করা হয়েছে। তারা এতোদিনে কিভাবে সরকারে সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করে চাকরিতে বহাল থেকেছে ইত্যাদি নানা প্রশ্ন। এখন পর্যন্ত যতজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে এদের মধ্যে মকবুল হোসেন ছাড়া বাকি সবাই পুলিশ প্রশাসন থেকে। তাহলে কি পুলিশ প্রশাসনে বিএনপি-জামায়াতের পুষ্ট আরও অনেকে এখনো পুলিশ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে আছে? কিংবা শুধুই কি পুলিশ প্রশাসনে হাওয়া ভবনের বিশেষ সুবিধা ভোগীরা আছে? নাকি অন্য প্রশাসনেও আছে? কিংবা অন্য প্রশাসনে যে নেই এর নিশ্চিয়তা কি আছে?

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছে, যদি প্রশাসনে বিভিন্ন জায়গায় এভাবে হাওয়া ভবনের বিশেষ সুবিধা ভোগীরা থেকে থাকেন তাহলে দেশের জনগণের সেবা প্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হবে। প্রশাসনও দুর্বল হয়ে পড়বে। আর এ কারণেই পুরো প্রশাসনের মধ্যে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা দরকার বলে মনে করছে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা। তবে তারা এটি বলেছেন যে, নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন সেদিকেও বিশেষ সতর্ক নজর দিতে হবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭