ইনসাইড পলিটিক্স

সিলেটে বিএনপির সমাবেশে জনসমাগমে ভাটার টান!


প্রকাশ: 19/11/2022


Thumbnail

সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম মহানগর দিয়ে শুরু করে ইতোমধ্যে ৬ টি বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করেছে দলটি। সেই ধারাবাহিকতায় আজ সিলেটে বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। হয়ে যাওয়া ৬টি গণসমাবেশ বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে উজ্জীতিক উদ্বেলিতও করেছে। কারণ এ সমস্ত সমাবেশে প্রচুর জনসমাগম হয়েছে। যা বিএনপিকে অনেক বেশি উজ্জীবিত করেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা ছিল বিএনপির নেতৃবৃন্দ্বের। তবে তাদের সেই ধারনা অচিরেই ফাটল দেখা দিলো আজ সিলেটে গণসমাবেশে। সমাবেশ আজকে হলেও গতকাল থেকে সভাস্থলে লোক আসতে শুরু করেছিল। ফলে সবার প্রত্যাশা ছিলো অন্যান্য সমাবেশের মতোও সিলেটে গণ জোয়ার হবে কিন্তু হিতে বিপরীত হয়েছে। গণ জোয়ার তো হয়নি। বরং জনসমাগমে ভাটার টান লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ জনসমাবেশে প্রত্যাশিত লোকের সমাগম হয়নি। এ নিয়ে দলটির নেতৃত্বের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। দেখা দিয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও।

হঠাৎ করেই সিলেটে বিএনপির সমাবেশে লোকের উপস্থিতির সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান করতে যেয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিএনপির বিভাগীয় প্রায় প্রতিটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিল এমন ২৩ লোকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ তারা বিএনপির সিলেটের জনসমাবেশে যোগ দেয়নি। কারণ জানতে চাইলে তারা জানান চাঞ্চল্যকর অজানা কথা। তারা বাংলা ইনসাইডারকে জানান, এর আগে প্রতিটি সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য তারা প্রতেক্যে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা হাজির বাবদ পেতেন। কেউ কেউ কোনো কোনো সমাবেশে দুই হাজার টাকা পর্যন্তও পেয়েছে। পাশাপাশি সমাবেশে যাওয়া আসা এবং তাদেরকে খাবারও দেয়া হতো। তবে সিলেটের সমাবেশে তারা এ ধরনের কোনো টাকা পাননি বলে এই সমাবেশে যোগ দেননি। তারা বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মী কিনা জানতে প্রতিউত্তরে না সূচক জবাব দেন। মূলত টাকার বিনিয়োগে তারা সমাবেশে যেতেন বলে দাবি করেন। এছাড়া তাদের সঙ্গে আরও অনেকে যোগ দিতেন বলে দাবি তাদের।

এদিকে, আজকের সমাবেশে লোকের জনসমাগম কম হওয়ায় স্থানীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করার খবর পাওয়া গেছে। কেন কাঙ্খিত লোকের সমাবেশ করতে পারেনি এমন প্রশ্নের জবাবে সিলেটের স্থানীয় নেতারা অর্থের সংকুলানের কথা বলছেন। কেন্দ্র থেকে যেভাবে বলা হয়েছে তারা সেভাবে অর্থের যোগান নিশ্চিত করতে পারেনি বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, গত বেশ কিছুদিন ধরে সারাদেশে গুজব উঠেছে যে, দেশের বেশ কিছু ব্যাংকে টাকা নেই। তাই ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাবে। ব্যাংকে যাদের টাকা আছে তারা যেন শীঘ্রই তাদের টাকা উত্তোলন করে নেয়। এমন গুজবে সারাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের হিড়িক পড়ে যায়। তবে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে অনেক গ্রাহক টাকা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেননি। বাড়ি ফেরায় পথেই ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে সর্বস্ব হারানোর খরব এসেছে। এমন অভিযোগে নড়েচড়ে বসেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকে টাকা নেই এটি একটি মহলের গুজব এবং ব্যাংকে যথেষ্ট টাকা রয়েছে বলে জরুরী বিজ্ঞপ্তি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে প্রায় অর্ধ শতাধিক টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পেয়ে অনুসন্ধানে মাঠে নামে একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা এবং বেশ কয়েকটি ছিনতাইকারী চক্রের সন্ধান পান তারা। যারা মূলত বিএনপির রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী বলে গোয়েন্দা তথ্যসূত্রে জানা গেছে। যারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় টাকা ছিনতাই করে একটি ফান্ড করেছিল এবং এই ফান্ডের টাকা বিএনপির সমাবেশের কাজে লাগানো হতো বলে গোয়েন্দার সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেছে। যা প্রভাব আজকে সিলেটে লক্ষ্য করা গেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭