ইনসাইড পলিটিক্স

১০ ডিসেম্বর নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি


প্রকাশ: 20/11/2022


Thumbnail

আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা করেছে বিএনপির। মহাসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে দলটি ইতোমধ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে। গোয়েন্দার তথ্য যাচাই বাছাই করে সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। ১০ ডিসেম্বর বিএনপি সরকারের পতন ঘটাতে চায়। সারাদেশ থেকে লোক এনে ঢাকা দখলে নিতে চায়। এর আগে বিএনপি এখন সারাদেশে বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশে করেছে। সর্বশেষ গতকাল সিলেটে সমাবেশসহ মোট ৭টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি। শুরুতে দলটির এসমস্ত সমাবেশে প্রচুর জনসমগম হচ্ছিল। যা দলটির মধ্যে আশার সঞ্চার করে। নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নেতাকর্মীদের উৎসাহ উদ্দীপনা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু বিএনপি সেটি ধরে রাখতে পারেনি। যে উৎসাহ আর উদ্দীপনা নিয়ে দলটি ১০ ডিসেম্বর সরকারবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপ দিতে চেয়েছিল তার আগে সেই উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভাটার টান পড়েছে গতকাল সিলেটের গণসমাবেশে।

চট্টগ্রাম-খুলনা-রংপুরে বিএনপির সমাবেশে গণ জোয়ার দেখা দিলেও সিলেটে সেই গণ জোয়ারে এবার ভাটার টান পড়েছে। সেখানে কাঙ্খিত জনসমগম করা যায়নি। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। বিএনপির সমাবেশগুলোতে জনসমাগম হওয়ার মূল কারণ ছিল মূলত লোক ভাড়া করে আনার। যারা সমাবেশে আসতো এরা দৈনিক হাজিরা বাবদ আসতো, দলের কর্মী হিসেবে নয়, এরা বিএনপির রাজনীতির মতাদর্শে বিশ্বাসী নয়। সেজন্য প্রতিটি সমাবেশে দলটি জনসমাগম করতে কোটি কোটি টাকা খরচ করতো। আর এই টাকা উৎস ছিল ছিনতাই এবং বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা চাঁদা। বিএনপি এবার ক্ষমতায় যাচ্ছে এমন হুমকি দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ী গ্রুপ থেকে দলটির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে। এ সমস্ত অভিযোগ পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় সেটি কমে আসে। ফলে আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে বিএনপির চাঁদাবাজি। যার প্রভাব পড়েছে সিলেটের গণসমাবেশে। 

এদিকে নভেম্বর মাস শেষ হতে চলছে। সন্নিকটে আগামী ১০ ডিসেম্বর। বিএনপির ঘোষণা মতে, সেদিন ঢাকার বাইরে থেকে লোক এনে ঢাকায় জমায়েত করতে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন। টাকা ছাড়া জনসমাগম করা সম্ভব নয়। কিন্তু আইনশৃঙাখলা বাহিনীর তৎপরতায় দলটির ছিনতাই চক্রটি ভেঙ্গে গেছে। অন্যদিকে বড় বড় শিল্প গ্রুপগুলোর এখন আর চাঁদা দিতে অস্বীকার জানিয়েছে। ফলে এমন বাস্তবতায় ১০ ডিসেম্বর বিএনপির কিভাবে ঢাকার বাইরে থেকে লোক ভাড়া করে ঢাকায় নিয়ে আসবে তা দলের সংশ্লিষ্টরা উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে।

উল্লেখ্য যে, গত ২৮ জুলাই ২০২১ সালে দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে বিএনপি। হিসাবে দেখানো হয়েছে, ২০২১ সালে দলটির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি, ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান ও এফডিআর থেকে এ টাকা আয় হয়েছে। একই সময়ে দলটির ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, ক্রোড়পত্র বিল, অফিস খরচসহ বিভিন্ন খাতে এ টাকা ব্যয় হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, গত বছর বিএনপি আয়ের চেয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা বেশি ব্যয় করেছে। অর্থাৎ হিসাব অনুযায়ী দলটি অর্থ সংকটে রয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭