ইংলিশদের গোল বন্যায় বড় পরাজয় ইরানের

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানের জালে রীতিমত গোল উৎসব করেছে ইংল্যান্ড। খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে এশিয়ার দলটিকে ৬-২ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলো ইংল্যান্ড। হ্যারি ম্যাগুয়ার তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে ডিফেন্ডার মাজিদ হুসেইনির সাথে ধাক্কা খান গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্ডের। বেশ কিছু সময় মাঠে তার চিকিৎসা চলে। এরপর উঠে দাঁড়ালেও খেলা চালিয়ে যেতে পারেন নি তিনি। ম্যাচের মাত্র ২০ মিনিটে তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আরেক গোলরক্ষক হুসেইন হুসেইনি।

২৭ মিনিটে প্রথম গোছানো আক্রমণ চালায় ইংল্যান্ড। তবে ডি বক্সের সামনে থেকে শাকার নেয়া শটটি সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। ৩০ মিনিটে আরেকটি সুযোগ নষ্ট করে ইংল্যান্ড। দুই মিনিট পর ম্যাগুয়ারের হেড পোষ্টে লেগে ফিরে আসে। একের পর এক আক্রমণ চালালেও জালের দেখা পাচ্ছিলো না ইংলিশরা। তবে ম্যাচের ৩৫ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় থ্রি লায়ন্সরা। দারুণ এক হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন বেলিংহাম। এটি ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম গোল এই তরুণ মিডফিল্ডারের।

এরপর থেকে ইরানকে চেপে ধরে হ্যারি কেইনের দল। ৪৩ মিনিটে ইংলিশদের হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন শাকা। এ গোলে ইংল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন তিনি। আর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে হ্যারি কেইনের অ্যাসিস্টে দলকে বড় লিডের দিকে নিয়ে যান রাহিম স্টারলিং। তার গোলে ৩-০  ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোলের দেখা পান স্টারলিং।

দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচে সে ধারা ধরে রাখে ইংল্যান্ড। মাঝে ইরান আক্রমণে উঠার চেষ্টা করলেও, সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারে নি। উল্টো ইরানের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে লিড বাড়িয়ে নেয় থ্রি লায়ন্সরা। ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলকে বড় জয়ের পথে নিয়ে যান শাকা। তবে তবে এক মিনিট পরেই ইরানের হয়ে গোলের খাতা খোলেন মেহেদি তারেমি। শোধ করেন একটি গোল।

৬৫ মিনিটে প্রথম গোল হজমের পর একাদশে চারটি পরিবর্তন আনে ইংল্যান্ড। আহত হয়ে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় হ্যারি ম্যাগুয়ারকে। একইসাথে আক্রমণভাগের দুই সদস্য জোড়া গোল করা শাকা ও রাহিম স্টারলিংকে উঠিয়ে নেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। তাদের পরিবর্তে মাঠে আসেন মার্কাস রাশফোর্ড ও ফিল ফোডেন। আরেক উইঙ্গার গ্রিলিশকেও সে সময় মাঠে নামান ইংলিশ কোচ।

বদলি হিসেবে বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে নেমে এক মিনিটের মাথায় গোল করেন রাশফোর্ড। যা তারও ক্যারিয়ারে প্রথম বিশ্বকাপ গোল। এতে ইংলিশদের লিড দাড়ায় ৫-১ গোলের। এগোতে থাকে বড় জয়ের পথে। আর ৮৯ মিনিটে ইরানের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন  জ্যাক গ্রিলিশ।

খেলার শেষ মুহূর্তে গোলকিপারকে একা পেয়েও বল জালে জড়াতে পারেনি ইরান। তবে দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে তারেমি গোল করে ব্যবধান কমান। তবে বড় হার সঙ্গী করেই মাঠ ছাড়তে হয় ইরানকে।

আর বড় জয় দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করলো গতবারের সেমিফাইনালিস্টরা।