সেনেগালের বিপক্ষে ডাচদের কষ্টার্জিত জয়

বিশ্বকাপে 'এ' গ্রুপের ম্যাচে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল। এর আগে কখনোই নিজেদের মধ্যে ম্যাচ খেলেনি নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল। এটিই তাই কোন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে দুই দলের প্রথম ম্যাচ হয়ে দাড়ায়। আর সে ম্যাচে সেনেগালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে নেদারল্যান্ডস।

ম্যাচের শুরু থেকেই দুই দলই চাপ সৃষ্টি করে প্রতিপক্ষের ডি বক্সে। তবে গোলপোষ্টে রাখতে পারেনি কোন দলই। ম্যাচের ১৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগ পেয়েছিলো ডাচরা। তবে ডি বক্সের ভেতর সে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন নি ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং।

২২ মিনিটে ডি বক্সের একটু বাইরে ডি লিট ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় নেদারল্যান্ডস। সেখান থেকেও গোল আদায় করে নিতে ব্যর্ত হয় কমলা জার্সিধারীরা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে চলতে থাকে খেলা। ২৫ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে সেনেগালের দারুণ এক প্রচেষ্ঠা নষ্ট করে দেন ডাচ অধিনায়ক ভার্জিল ফন ডাইক। দুই মিনিট পর কর্ণার থেকের বল পেয়ে হেড করলেও তা লক্ষ্যে রাখতে পারেন নি ফন ডাইক। ৩৩ মিনিটে সাবালির ডি বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দুর্বল শট ঠেকাতে বেগ পেতে হয়নি ডাচ গোলকিপারকে।

পুরোটা সময় আক্রমণাত্নক ফুটবল খেললেও জালের দেখা পাচ্ছিলো কেউই। গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।

বিরতির পরও গোলের আশায় আক্রমণ চালাতে থাকে নেদারল্যান্ডস ও সেনেগাল। ৫৩ মিনিটে ফন ডাইকের আরেকটি হেড বার ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। দুই মিনিট পর সুযোগ পেয়েছিল সেনেগালও। ডি বক্সের বাইরে খানিকটা ফাঁকা জায়গা পেলেও, শট নিতে দেরি করে ফেলেন সাবালি। তার শট ডাচ ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। ৫৭ মিনিটে ফাউল করে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ম্যাথিয়াস ডি লিট।

গোলের আশায় মরিয়া হয়ে ৬২ মিনিটে ইয়ানসেনের বদলি হিসেবে মেমফিস ডিপাইকে মাঠে নামান ডাচ কোচ লুইস ফন গাল। উল্টো ৬৫ মিনিটে সেনেগালের দারুণ এক প্রচেষ্টা ব্যাহত করেন ডাচ গোলরক্ষক নোপার্ট। ৬৯ মিনিটে বদলি ফুটবলার নামায় সেনেগালও। ৭৩ মিনিটে আরো একবার নোপার্টের নৈপূর্ণ্য বেঁচে যায় নেদারল্যান্ডস। ম্যাচের ৮০ মিনিট পর্যন্ত আক্রমণের হিসেবে ডাচদের থেকে এগিয়ে ছিল সেনেগালিজরাই। এ সময়ের মধ্যে গোলমুখে ১১টি শট নেয় সেনেগাল। তার বিপরীতে ডাচদের সংখ্যা ছিল ৭।

বল জালে পাঠাতে বেশ কয়েকজনকে উঠিয়ে বদলি ফুটবলার নামায় নেদারল্যান্ডস। অবশেষে ম্যাচের ৮৪ মিনিটে সেই কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় ডাচরা। ডি ইয়ং এর দারুণ এক ক্রস থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন কোডি গাকপো। যা ছিলো অন টার্গেটে ডাচদের প্রথম শট। ৮৭ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিলো সেনেগালও। তবে এ যাত্রাতেও দলের ত্রাতা হয়ে দেখা দেন ডাচ কিপার নোপার্ট। আর ম্যাচের শেষ মিনিটে ডিপাইয়ের অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান ২-০ করে নেদারল্যান্ডস। শেষ ৬ মিনিটে ম্যাচের চিত্র বদলে দেয় ডাচ ফুটবলাররা।

আর সেই লিড ধরে রেখে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে পুরো দুই পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে নেদারল্যান্ডস। আর দুর্দান্ত ফুটবল খেলেও আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী দলটি মাঠ ছাড়ে হারের বেদনা নিয়ে।