ইনসাইড পলিটিক্স

কারা আসছেন স্বাচিপের নেতৃত্বে?


প্রকাশ: 24/11/2022


Thumbnail

আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম চিকিৎসক সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের পঞ্চম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগামীকাল। এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সম্মেলনকে ঘিরে চিকিৎসকদের মধ্যে নানামুখী আলাপ-আলোচনা চলছে। বিশেষ করে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতৃত্বে কে আসবেন, নেতৃত্বে পরিবর্তন হবে কিনা এ নিয়ে নানারকম জল্পনা-কল্পনা চলছে। বর্তমানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান এবং মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ। এবার সম্মেলনের মধ্য দিয়ে এই নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে কিনা, সেটি এখন সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, স্বাচিপের নেতৃত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে স্বাচিপের বর্তমান সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলানকে সরিয়ে নতুন কোনো সভাপতিকে নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। নতুন সভাপতি হিসেবে বর্তমান মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং ডা. কামরুল হাসানের নাম জোরেশোরেই উচ্চারিত হচ্ছে। এদের মধ্যে যে কেউ একজন সভাপতি হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, ডা. আজিজ এবং ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া মধ্যে যদি কেউ সভাপতি হয় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

অন্যদিকে স্বাচিপের মহাসচিব পদেও বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে আভাস দেওয়া হয়েছে। স্বাচিপের বর্তমান মহাসচিব যদি শেষ পর্যন্ত সভাপতি হন তবে সেখানে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, স্বাচিপের কেন্দ্রীয় নেতা বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসার্জারি বিভাগের ডিন ও নিউরোসার্জন অধ্যাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলোজির অধ্যাপক ও ঢাকা মেডিকেল অনুষদের ডিন ডা. শাহরিয়ার নবী শাকিলের নাম আলোচনায় রয়েছে বেশ জোরেশোরে। চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় এই সংগঠনের নেতৃত্ব নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভিন্ন সঙ্কটে চিকিৎসকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে ১৯৯০ সালের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় বিএমএ'র নেতা ডা. মিলনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এরশাদ পতনের মূল পথযাত্রা সূচনা হয়েছিল। সেই সময়ে বিএমএ'র মহাসচিব ছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের চিকিৎসকদের সংগঠন। কিন্তু টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার কারণে স্বাচিপই এখন চিকিৎসকদের প্রধান সংগঠনে পরিণত হয়েছে। স্বাচিপের নেতারাই বিএমএ নির্বাচনে ভূমিকা রাখে। বর্তমানে স্বাচিপের সভাপতি যিনি আছেন তিনি আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী চিকিৎসক নেতা। বিভিন্ন সঙ্কটে তার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল। বিশেষ করে এক-এগারোর সময় তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি বিরল একজন স্বাচিপ নেতা যিনি আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও তেমন কিছুই পাননি। এমনকি তাকে বিএমএ'র নির্বাচনেও মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। নানা কারণে তিনি বঞ্চিত হয়েছেন। ইকবাল আর্সলান এবার কি সভাপতি থাকবেন কিনা, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। কারণ, তার বিরুদ্ধ মত এখন অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। ইকবাল আর্সলানকে বাদ দিয়ে যে কাউকে করার পক্ষে কিছু কিছু মত তৈরি হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত স্বাচিপের নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই। আগামীকালই বোঝা যাবে স্বাচিপের নেতৃত্বে কি পরিবর্তন আসছে, নাকি আগের নেতৃত্বই থাকছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭