প্রকাশ: 25/11/2022
কাতারকে হারিয়ে রাউন্ড অব সিক্সটিনের আশা বাঁচিয়ে রাখলো সেনেগাল। হারলেই বিদায়, আর জিকলে টিকে থাকবে সম্ভাবনা। এমন সমীকরণ সামনে রেখে দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে বাঁচা মরার লড়াইয়ে নেমেছিলো স্বাগতিক কাতার ও সেনেগাল। সে ম্যাচে কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দিলো সেনেগাল।
ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে সেনেগাল। কাতারও সে চেষ্টা চালায়। তবে আফ্রিকার দলটির গতি আর ক্ষিপ্রতার কাছে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারছিলো না স্বাগতিকরা। কাতারের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে সেনেগাল। ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় ইসমাইলা প্রথম সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আবারো আক্রমণে উঠে দলটি। ১৫ মিনিটে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন কাতার ফরোয়ার্ড আফিফ। তবে কোন বিপদ ঘটাতে পারেন নি।
ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্যেই চালকের আসনে বসে সেনেগাল। তাদের আক্রমণাত্নক ফুটবলের কাছে ছন্দ হারিয়ে ফেলে এশিয়ার দলটি। ২৪ মিনিটে প্রথম অন টার্গেটে শট করে সেনেগাল। ইদ্রিসা গানার শটটি একদম বারের পাশ দিয়ে চলে গেলে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হারায় দলটি। ৩০ মিনিটে হোমাম আহমেদকে ফাউল করে এই ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন বোলাউয়ে দিয়া।
তবে ৪১ মিনিটে গোল করে সেনেগালকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সেই দিয়াই। স্বাগতিক রক্ষককে বোকা বানিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। আর তার গোলেই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় সেনেগাল।
বিরতির পর মাঠে ফিরেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সেনেগাল। ৪৮ মিনিটে কর্ণার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন ফামারা ডিয়েদিউ। ৫৫ মিনিটে কাতার কর্ণার থেকে দুইবারের চেষ্টাতেও গোল করতে পারেনি। ফলে ব্যবধান কমাতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বেশ কয়েকবার সেনেগালের রক্ষক ভেদ করে কাতারের ফরোয়ার্ড আফিফ গোলের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেও সফল হননি। ৬৩ মিনিটে আফিফের বাড়ানো বল থেকে গোলপোষ্টে শট করেন আলমোয়েজ আলী। তবে সেনেগাল গোলরক্ষক মেন্ডি তা পোষ্টের বাইরে পাঠিয়ে দেন। কর্ণার পায় কাতার। সেখান থেকেও ভালো সম্ভাবনা ছিল। তবে তা লুফে নিতে পারেনি স্বাগতিক দলটি।
৬৭ মিনিটে আবারো দারুণ দক্ষতায় কাতারের গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন মেন্ডি। হতাশা বাড়ে কাতারের। ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে ৭৪ মিনিটে দলে পরিবর্তন আনেন কাতারের স্প্যানিশ কোচ। হাসান আলহাদোসের পরিবর্তে মাঠে নামেন মোহাম্মাদ মুনতারি। আর বদলি হিসেবে নামার চার মিনিটের মাথায় দৌড়ে এসে গোল করে দলের হয়ে ব্যবধান কমান তিনি। তার গোলেই নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম গোলের দেখা পেলে স্বাগতিক কাতার। আর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ১৩তম গোল করলেন মুনতারি।
তবে কাতারের গোলের রেশ না কাটতেই আবার ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সেনেগাল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে বাম্বার গোলে স্কোরলাইন ৩-১ এ নিয়ে যায় আফ্রিকার দলটি। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেনগাল।
আর এ হারে বিশ্বকাপ থেকে অনেকটাই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেলো কাতারের। পরের ম্যাচে যদি ইকুয়েডরের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস জয় তুলে নিলে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হবে কাতারকে। তবে যদি অঘটন ঘটিয়ে ইকুয়েডর জিতে যায়, তখনই কেবল ক্ষীণ সম্ভাবনা টিকে থাকবে স্বাগতিক দলটির। এর আগে স্বাগিতক হিসেবে প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নেয়া একমাত্র দল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০১০ সালে নিজেদের মাটিতে আয়োজিত বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে পেরোতে পারেনি তারা।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭