উড়তে থাকা ইংল্যান্ডকে রুখে দিলো যুক্তরাষ্ট্র

আগের ম্যাচে বড় জয় পাওয়ায় জিতলেই এক পা দিয়ে রাখবে রাউন্ড অব সিক্সটিনে। এমন সমীকরণ সামনে রেখে যুক্তরাস্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। তবে সে আশার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারেন নি ইংলিশ ফুটবলাররা। আল বাইত স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে গোল শূন্য ড্র করেছে থ্রি লায়ন্সরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই বলের দখল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করে ইংলিশরা। তবে কম যায়নি যুক্তরাষ্ট্রও। আগামী বিশ্বকাপে স্বাগতিক দল যুক্তরাষ্ট্র। তার আগে নিজেদর সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে চায় উত্তর আমেরিকার দলটি। ম্যাচে তাই ইংলিশদের সাথে সমানতালে টেক্কা দিতে থাকে পুলিসিচ-উইয়াহরা।

ম্যাচের ১১ মিনিটে জন স্টোন ও ম্যাসন মাউন্ট জোড়া আক্রমণ চালালেও লাভ হয়নি। উল্টো ১৭ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো যুক্তরাষ্ট্র। তবে রাইটের নেয়া শটটি বার ঘেষে বেরিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে ওয়েস্ট ম্যাককিনিরশট পোষ্টের উপর দিয়ে চলে গেলে গোল আদায়ে ব্যর্থ হয় মার্কিনিরা। ৩৩ মিনিটে পুলিসিচে শট উপরের পোষ্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে যুক্তরাষ্ট্রের। ৪১ মিনিটে ডেস্টের নেয়া শট প্রতিহত হলে সে আক্রমণ থেকেও গোলের দেখা পায়নি যুক্তরাষ্ট্র।

৪৩ মিনিটে ডেস্টের ক্রস থেকে হেড করেন পুলিসিচ। সেটিও বার ঘেষে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধ্বের পুরোটা সময় যুক্তরাষ্ট্রের সামনে খোলস ছেড়ে বের হতে পারেন নি ইংলিশ ফুটবলাররা। তবে অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে অন টার্গেট নিজেদের প্রথম শট নিতে পারে ইংল্যান্ড। তবে দৃঢ়তার সাথে মাউন্টের সে আক্রমণ নষ্ট করে দেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টার্নার।

বাকি সময়ে আর কোন গোল না হলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।

প্রথমার্ধ্বের সাফল্য বিরতির পরও ধরে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ৪৯ মিনিটে ওয়েস্টিন ম্যাককিনি গোলমুখে প্রথম শট নেয়। ৫৮ মিনিটে কর্ণারের বিনিময়ে পুলিসিচের আরো একটি প্রচেষ্টা ব্যাহত করেন ডেকলান রাইস। চার মিনিট পর আবারো আক্রমণে উঠে পুলিসিচ। তবে গোল আসেনি সেবারও। যুক্তরাষ্ট্রের একের পর এক আক্রমণে নাজেহাল অবস্থায় পড়ে যায় আগের ম্যাচে অলআউট ফুটবল খেলা ইংল্যান্ড।

গোলের আশায় মরিয়া হয়ে ৬৮ মিনিটে স্টারলিং এর পরিবর্তে জ্যাক গ্রিলিশকে মাঠে নামান ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। আর বেলিংহামের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন হেন্ডারসন। তাত্ওে বদলায় নি ম্যাচের চিত্র। ৭৮ মিনিটে আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডরে হয় দুই গোল করা শাকাকে উঠয়ি রাশফোর্ডকে মাঠে নামায় ইংল্যান্ড।

৮৩ মিনিটে দলে জোড়া পরিবর্তন আনে যুক্তরাষ্ট্রও। ৮৭ মিনিটে রাশফোর্ডকে হতাশ করে তার সুযোগ নসাৎ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ার্ধ্বের যোগ করা সময়ে কর্ণার থেকে বল পেয়ে হেড করেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তবে তা পোষ্টের অনেক উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। বাকি সময়ে গোল আদায়ে ব্যর্থ হয় দুই দলই। ফলে গোল শূন্য অবস্থায় শেষ হয় ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি। পয়ন্টে ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ে দুই দল।

তবে পুরো ম্যাচে সেই অর্থে খুঁজে পাওয়া যায়নি ইংলিশ ফুটবলারদের। নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার তো করতেই পারেন নি, উল্টো ছন্দ হারিয়ে নিজেদের ছায়া হয়ে ফিরেছেন তারা। অন্যদিকে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা ইংলিশদের রুখে দিলো যুক্তরাষ্ট্র।

এই ম্যাচ শেষে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই থাকলো ইংল্যান্ড। আর টানা দ্বিতীয় ড্রয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পয়েন্ট ঝুঁলিতে রয়েছে ২ পয়েন্ট।