ইনসাইড গ্রাউন্ড

জাপানকে হারিয়ে কোস্টা রিকার চমক


প্রকাশ: 27/11/2022


Thumbnail

ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিলো জাপান ও কোস্টা রিকা। আগের ম্যাচে জার্মানিকে হারানোয়, এই ম্যাচটিতে জিতলে অনেকটাই রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত হয়ে যাবে জাপানের। আর কোস্টা রিকার জন্য ছিলো টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াই। দোহার আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে সে ম্যাচে জাপানকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখালো আগের ম্যাচে স্পেনের কাছে বিধ্বস্ত হওয়া কোস্টা রিকা।

ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে দুই দল। শুরুর আক্রমণ করে কোস্টা রিকা। ৪ মিনিটে গারসন তোরেস চেষ্টা চালান আর্লি গোলের। দুই দল মাঝমাঠে নিজেদের বলের নিয়ন্ত্রণ রাখলেও খেই হারিয়ে ফেলেন আক্রমণভাগে। বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে ঢোকার চেষ্টা করলেও সফলতা পান নি কেউই।

জোয়েল ক্যাম্পবেল বেশ কয়েক ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে জাপানি ডিফেন্ডাররা তা প্রতিহত করে দেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কোস্টা রিকার রক্ষণে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করে জাপান। ৩৮ মিনিটে এন্দো'র একটি ভাল শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে ফিরে আসে।

৪১ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন অ্যান্থনি কনতেরাস। তিন মিনিট পর ক্যাম্পবেলকে পেছন থেকে লাথি দিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন ইয়ামানে। নির্ধারিত সময়ে অন টার্গেটে একটি শটও নিতে পারেন নি জাপান-কোস্টা রিকার কেউই।

তবে শরীর নির্ভর খেলা দেখা যায় শুরু থেকেই। ফলশ্রুতিতে ম্যাচের প্রথমার্ধে ১৭ বার ফাউলের বাঁশি বাজাতে হয় ইংলিশ রেফারি মাইকেল অলিভারকে। এতে খেলার গতিও অনেকটা কমে যায়।

বিরতি থেকে ফিরেই হিদেমাসা মোরিতার একটি শট লাফিয়ে ক্লিয়ার করে দেন নাভাস। পরের মিনিটে আসানোর আরেকটি শট গ্লাভস বন্দী করেন তিনি। ৫৭ মিনিটে ডি-বক্স থেকে নেয়া শট বাইরে দিয়ে মারেন ইয়োকি সোমা। পরেরই মিনিটেও ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন আসানো। তবে সামনে দৌড়ে এসে তা ক্লিয়ার করে দেন নাভাস। ৬১ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের সামনে এন্দোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন সেলসো বোর্গেজ। সুবিধাজনক স্থানে ফ্রি-কিক পায় জাপান। তবে সোমার নেয়া শটটি পোষ্টের উপর দিয়ে চলে যায়।

৬২ মিনিটে মিকি ইয়ামানেকে উঠিয়ে কাউরু মিতোমাকে মাঠে নামায় জাপান। ৬৫ মিনিটে জোড়া পরিবর্তন আনে কোস্টা রিকাও। দুই মিনিট পর আরো একবার ফুটবলার বদল করে এশিয়ার দলটি। তাতেও গোলের দেখা পায়নি কোন দল। তবে প্রতিপক্ষকে ভালই চেপে ধরে জাপান।

৭০ মিনিটে পেনাল্টি বক্সের ঠিক সামনে ইতোকে ফাউল করে হলুদ কার্ড পান ফ্রান্সিসকো কালভো। সেখান থেকে ফ্রি-কিক থেকে দুইবারের চেষ্টাতেও কিছু করতে পারে নি কামাদা ও সোমা। তবে টানা দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে পারবেন না কালভো।

তবে ৮১ মিনিটে তেজদার অ্যাসিস্ট থেকে দারুণ এক গোল করে কোস্টা রিকাকে সাফল্য এনে দেন কেইশের ফুলার। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মধ্য আমেরিকার দলটি। ডি-বক্সের ভেতের বল পেয়ে দারুণ এক শটে  জাপানি গোলরক্ষক গন্ধার হাত ছুয়ে গেলে, জাল খুঁজে পায় বল। আট মিনিট পর সমতায় ফিরতে পারতো জাপানও। তবে ডি-বক্সের ভেতর থেকে কামাদার নেয়া শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন নাভাস। সেখান থেকে বল পেয়ে দ্বিতীয় চেষ্টাতেও গোল আদায় করতে পারেনি সামুরাই ব্লু'রা। নির্ধারিত সময়ে আর কোন গোল না হলে স্মরণীয় এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কেইলর নাভাসের দল।

এ জয়ে এখনো বিশ্বকাপের পরের রাউন্ডের আশা কিঞ্চিৎ বেঁচে রইলো কোস্টা রিকার। তবে সে জন্য গ্রুপের অন্যান্য ম্যাচের ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে দলটিকে। সমান ৩ পয়েন্ট স্পেন, জাপান, কোষ্টারিকা সবার। তবে টেবিলের শীর্ষে এক ম্যাচ কম খেলা স্পেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭