ইনসাইড গ্রাউন্ড

পরের রাউন্ডে সেনেগাল, বিদায় ইকুয়েডরের


প্রকাশ: 29/11/2022


Thumbnail

কাতারের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচে ২-০ গোলের জয়। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তিশালী ডাচদের সাথে ১-১ গোলে ড্র। ঝুঁলিতে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে সেনেগালের মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আমেরিকার দল ইকুয়েডর। সেনেগালের সাথে ড্র করলেই পরের রাউন্ডের টিকিট পেয়ে যাবে দলটি। তবে এতটা সহজ সমীকরণ ছিরো না সেনেগালের জন্য। প্রথ ম্যাচে ডাচদের কাছে হার দিয়ে শুরু। পরের ম্যাচে কাতারকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলো দলটি। তবে সে পথে যেতে এই ম্যাচে হারাতেই হবে উকুয়েডরকে। ড্র করলে বা হারলে নিশ্চিত বিদায়। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শেষ হাসি হেসেছে  আলিউস সিসের দল। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে ইকুয়েডরকে টপকে রাউন্ড অব সিক্সটিন নিশ্চিত করলো সেনেগাল।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলার চেষ্টা করতে থাকে সেনেগাল। পরের রাউন্ড যেতে আফ্রিকার দলটির সামনে জয় ছাড়া যে কোন বিকল্প নেই। ম্যাচের ৩ মিনিটেই সুযোগ পায় সেনেগাল। তবে ইদ্রিস গায়ার নেয়া শটটি চলে গোলবারের বাইরে দিয়ে। ১২ মিনিটে আবারো আক্রমণে উঠে সেনেগাল। সেখান থেকে গোলের ভালো সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিলো দলটির। তবে এনদাইয়ের বাকানো শট গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও বার ঘেঁষে তা বাইরে চলে গেলে এগিয়ে যেতে পারেনি সেনেগাল।

টানা আক্রমণে ইকুয়েডরের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকে সেনেগালের ফুটবলাররা। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো না দলটি। ২৫ মিনিটে দিয়াল্লো ও ৩০ মিনিটে গালিমানের চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। সাত মিনিট পর পাথের শট থেকেও গোলমুখ খুলতে পারেনি সেনেগাল। তবে ৪২ মিনিটে মোড় নেয় ম্যাচের গতিমুখ। ইসমাইল সারকে ডি বক্সর ভেতর ফাউল করায় পেনাল্টি পায় সেনেগাল।

সেখান থেকে গোল করে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ইসমাইল সার। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে একাদশে জোড়া পরিবর্তন আনে ইকুয়েডর। বাকি সময়ে ব্যবধান বাড়াতে না পারলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় সেনেগাল।

সেনেগালের বিপক্ষে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকে পর দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু করে ইকুয়েডর। প্রথমার্ধে খুব একটা খুঁজে পাওয়া না গেলেও, বিরতির পর খানিকটা ছন্দ খুঁজে পান ইকুয়েডরের ফুটবলাররা। সেনেগালের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়াইয়ের চেষ্টা করেন এনার ভ্যালেন্সিয়ারা।

৪৯ মিনিটে প্রথমবার সেনেগালের রক্ষণভাগে ঢুকতে পারে ইকুয়েডর। তবে সেখান থেকে গোল এনে দিতে পারেন নি সিফুয়েন্তাস। ৫৮ মিনিটে আক্রমণ চালান ইসত্রাদা। ব্যর্থ হন তিনিও। ৬৪ মিনিটে তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন রিয়াস্কো। ৬৬ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ইদ্রিসিয়া গুয়ে। টানা দুই ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখায় সেনেগাল পরের রাউন্ডে গেলে সে ম্যাচে খেলতে পারবেন না এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

তবে ম্যাচের ৬৮ মিনিটে ইকুয়েডরকে সমতায় ফেরান মোয়েসেস সাইসেদো। স্বস্তি এনে দেন ডাগআউটে। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম গোল করেন এই ২১ বছর বয়সী ফুটবলার। তবে ইকুয়েডরের ম্যাচে ফেরার আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুই মিনিট পর গোল করে আবার সেনেগালকে এগিয়ে দেন কালিদু কলিবালি। ২-১ গোলে এগিয়ে যায় আফ্রিকার দলটি।

দলে দুইটি পরিবর্তন আনে সেনেগালও। ৮২ মিনিটে ডি ব-বক্সের বাইরে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েছিলেন দিয়া। খানিকটা এগিয়ে গিয়ে বুলেট গতির যে শটিট নেন তিনি, তা বারের খানিক বাইরে দিয়ে চলে গেলে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি তার দল। খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে আগের দুই ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ইকুয়েডর। তাদের বেশ কয়েকটি আক্রমণ প্রতিহত করে দেন সেনেগাল গোলরক্ষক মেন্ডি।

শেষ মুহুর্তে দুইটি কর্নার পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইকুয়েডর। আর দ্বিতীয়ার্ধের সাফল্য ধরে রেখে ২-১ গোলের জয় তুলে নেয় আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ী সেনেগাল।

এ জয়ে টানা দ্বিতীয়বার রাউন্ড অব সিক্সটিনের টিকিট পেলো সাদিও মানে বিহীন সেনেগাল। ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে উঠে গেলো দলটি। আর দুর্দান্ত শুরুর পর শেষ ম্যাচে এসে পথ হারিয়ে বিদায় নিলো ইকুয়েডর।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭