১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে বিএনপির ভয়ংকর পরিকল্পনা

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সেদিন নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুশিলের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করলে জনভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি যেন সমাবেশ করার জন্য যথেষ্ট সময় পায় বা প্রস্তুতি নিতে পারে সেজন্য আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের জাতীয় সন্মেলন দুদিন এগিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর করা হয়েছে। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে রাজি নয় বিএনপি। বরং নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থান নিয়েছে বিএনপি। ফলে সঙ্গত কারণেই বিএনপির এমন অনড় অবস্থানের ব্যাপারে বিভিন্ন মহেলে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে সমাবেশের আড়ালে বিএনপির অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা তা নিয়ে। 

সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দার সূত্রে জানা গেছে, ১০ ডিসেম্বর ঘিরে বিএনপির এক ভয়ংকর পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু বিএনপি একা নয়, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতও রয়েছে বলে জানা গেছে। এর সাথে জঙ্গিদেরও সম্পৃক্ত থাকার খবর পাওয়া গেছে। আর এ ধরনের পরিকল্পনার সূত্রেই বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে অনড় অবস্থান নিয়েছে। কারণ নয়াপল্টন এলাকা বিএনপি-জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা এবং নয়াপল্টনের প্রতিটি অলি-গলিতে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী গ্যাং রয়েছে বলে জানা গেছে। ১০ ডিসেম্বর সারাদেশ থেকে লোক এনে নয়াপল্টনের আশেপাশে যেমন, মিন্টুরোড়, মৎস্যভবন মোড়, কাকরাইল, পল্টনমোড় এবং মতিঝিল পর্যন্ত পুরো এলাকা দখল করার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। এবং হেফাজতের মতো ১০ ডিসেম্বর বিএনপির একটি রক্তাক্ত সহিংসতার ঘটাতে চায় বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। 

শুধু তাই নয় ঢাকার বাইরে থেকে যারা আসবে তাদেরকে নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়ে পুরো রাজধানীকে সেদিন অচল করে দেয়ার একটা পরিকল্পনা রয়েছে বিএনপির। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, ১০ ডিসেম্বর কোনো কিছুই হবে না। তারা কোনো সহিংস কার্যক্রম করবে না। তারা সেফ একটি সমাবেশ করবে মাত্র। কিন্তু ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সভা গুলোতে সুস্পষ্টভাবে বলা হচ্ছে যে, ১০ ডিসেম্বর নেতাদের নির্দেশ ছাড়া কোনো কর্মী যেন সেদিন সমাবেশস্থল ত্যাগ না করে। আর কর্মীদের যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানে যেন তারা প্রতিবাদ করে। এসমস্ত ঘটনা থেকে এটা সুস্পষ্ট যে, ১০ ডিসেম্বর বিএনপি পুরো ঢাকা শহরকে অবরুদ্ধ করে একটি সহিংস পরিস্থিতি তৈরি করা দূরভিসন্ধি রয়েছে বিএনপির। প্রয়োজনে গায়ে পড়ে সহিংস তৈরি করা হবে যেন সেদিন রাজপথে মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সুতরাং এটা সুস্পষ্ট যে, ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে  একটি ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। এখন দেখা বিষয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে পারে কিনা।