ইনসাইডার এক্সক্লুসিভ

অভিজাত এসকর্ট গার্লরা যুক্ত হয়েছেন সরকারবিরোধী অপপ্রচার মিশনে


প্রকাশ: 01/12/2022


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে এখন তথ্য সন্ত্রাস চলছে। বিদেশে বসে বিভিন্ন পলাতক চিহ্নিত আসামিরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করছে। গত এক বছর ধরে বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় কয়েকজন চিহ্নিত ব্যক্তি সরকারের বিরুদ্ধে গোয়েবলসীয় মিথ্যাচারের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। যত নির্বাচন এগিয়ে আসছে তত সরকারের বিরুদ্ধে নানারকম মিথ্যাচার প্রতিদিন বাড়ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লন্ডন এবং প্যারিস থেকে এই সমস্ত তথ্য সন্ত্রাসীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে এক রকমের সাইবার যুদ্ধ শুরু করেছে। আর সেই সাইবার যুদ্ধে এখন নতুন অস্ত্র হিসেবে আনা হচ্ছে অভিজাত এলাকার এসকর্ট গার্লদেরকে। যে সমস্ত নারীরা অভিজাত এলাকায় চলাফেরা করেন, ধনী মানুষদেরকে নানাভাবে ব্ল্যাকমেইল করেন, রাজনীতিবিদ এবং প্রভাবশালীদের সঙ্গে নানা রকম সম্পর্কের কথা বলে বিভিন্ন মানুষকে ভয়-ভীতি দেখান এবং কাজ হাসিল করে নেন, এরকম কয়েকজন এসকর্ট গার্ল এখন সাইবার সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন অসত্য প্রচারের জন্য সামনাসামনি আসছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রামের হুইপ শামসুল হকের পুত্র শারুনের প্রাক্তন স্ত্রী সাইফা মিম, পিয়াসাসহ আরও বেশ কয়েকজন। তবে সাইফা মিম এবং পিয়াসা ইতিমধ্যেই এই সমস্ত অপপ্রচারকারীদের কাছে নিজেদেরকে মেলে ধরেছেন এবং এমন কিছু কুৎসিত, অসত্য বানোয়াট তথ্য নিজেদের বয়ানে প্রকাশ করছেন যে সমস্ত তথ্যগুলো সরকারকে বিব্রত করার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে।

সাম্প্রতিক সময়ে সাইফা মিম তার প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ করে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছে। সাক্ষাৎকারটি অপপ্রচারকারীদের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ইতিমধ্যে প্রচারিত হয়েছে। এটি থেকে সুস্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে, নির্বাচনের আগে সরকারের ঘনিষ্ঠ, প্রভাবশালী এবং সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এরা এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। সাইফা মিম এবং পিয়াসা দুজনই অভিজাত এলাকার এসকর্ট গার্ল। তাদের মূল পেশা হলো অভিজাত এলাকাগুলোতে খুঁজে খুঁজে প্রভাবশালী এবং ধনী ব্যক্তিদেরকে ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা, তাদের সঙ্গে নানারকম কৌশলে ঘনিষ্ঠ হওয়া বা একটা দুটো ফটোসেশন করা বা কোনো অভিজাত পার্টিতে তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা, পরবর্তীতে তাদেরকে ব্ল্যাকমেইল করা এবং তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া। অভিজাত এলাকার বিভিন্ন পার্টিতে এরা যান এবং চোখ রাখেন ধনী-প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে। কারণে-অকারণে এরা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাদের অসতর্ক মুহূর্তে তাদের সঙ্গে দুই একটা ছবি তোলেন বা এই সমস্ত পার্টিগুলোতে গিয়ে তাদেরকে প্রলুব্ধ করার করতে চান। আর এর মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের একটা মিশন তৈরি করেন। এখন এই মিশন বন্ধ হয়েছে।

গত পহেলা আগস্ট রাজধানীর গুলশানে ভাড়া করা বাসা থেকে ফারিয়া মাহবুবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং সে সময় তার বাড়িতে বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া গিয়েছিলো। পিয়াসার বিরুদ্ধে তিনটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিলো। কিন্তু এই মামলাগুলো থেকে পিয়াসা জামিন পান। একইভাবে সাইফা মিমও একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর তিনি মুক্ত হয়েছেন। মুক্ত হওয়ার পর এখন সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে তারা ব্যবহৃত হচ্ছেন। সাইফা মিমও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন অপপ্রচারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন এবং নিজেদের বয়ানে অসত্য, ভিত্তিহীন, কুৎসিত, বানোয়াট মিথ্যাচার করছেন যে সমস্ত মিথ্যাচার গুলো প্রচারিত হলে সরকার এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হয়। এই মিশন অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। ইতিমধ্যে যারা বাংলাদেশ থেকে এই সমস্ত তথ্য সন্ত্রাসীদের তথ্য সরবরাহ করছে তাদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিলো। একজন তথ্য সন্ত্রাসের বোনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহলে সাইফা মিম বা পিয়াসাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন, সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭