ইনসাইড বাংলাদেশ

রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা বিদেশী দূতাবাসগুলোর


প্রকাশ: 01/12/2022


Thumbnail

আগামী ১০ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা হতে পারে বলে কয়েকটি পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা মনে করছেন। বাংলাদেশে অবস্থিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং তারা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সহাবস্থান, সমঝোতা এবং সহনশীলতারনীতি অনুসরণ না করা হয় তাহলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠতে পারে যেটি বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে পারে। বাংলাদেশ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশি কূটনীতিকদের ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। তারা আগামী ১০ ডিসেম্বরের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং এই পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতেই বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিকরা এরকম অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো দূতাবাসই এখন পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর নিয়ে কোনো বিবৃতি বা মন্তব্য করেনি।

তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি চূড়ান্ত করেছে বলে জানা গেছে। তারা এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতির যদি অবনতি ঘটে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেক রাজনৈতিক দলকে দায়িত্বশীলতা এবং সহনশীলতার নীতি অনুসরণ করার জন্য আহ্বান জানাবেন এবং সন্ত্রাস-সহিংসতা পরিহার করার অনুরোধ করবে বলে জানা গেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তাতে তারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন যে, ১০ ডিসেম্বরকে ঘিরে রাজনৈতিক সহিংসতা সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত যদি জনসভার স্থান নিয়ে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য না হয় তাহলে সহিংসতার শঙ্কা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উড়িয়ে দিচ্ছে না।

শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও একইরকম অভিমত মনে করছে। তারা মনে করছেন, দ্রুত বাংলাদেশের রাজনীতিতে উত্তাপ-উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। তবে সকল পক্ষকে ধৈর্যধারণ করা উচিত এবং তাদেরকে রাজনৈতিক রীতি-নীতি অনুসরণ করেই যেকোনো কর্মসূচি পালন করতে হবে। জাপানও বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর পর্যবেক্ষণ করছে। তারা মনে করছেন যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন এমন না হয় যেখানে জনগণের জীবন হুমকির মুখে পড়ে। জাপান দূতাবাসও মনে করছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এতে জনজীবনের দুর্ভোগ বাড়বে, এটি কারোই কাম্য নয়। আর এইজন্যই রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও দূতাবাস সূত্রগুলো বলছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না নিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি অনানুষ্ঠানিকভাবে আহ্বান জানিয়েছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদেরকে বলা হয়েছে যে, বিরোধী দলের কর্মসূচির ক্ষেত্রে যেন রাজনৈতিক সহনশীলতার সীমা অতিক্রম না করে এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে যেন ধৈর্য এবং সংযমের পরিচয় দেয়। সন্ত্রাস-সহিংসতা কোনো রাজনৈতিক সমাধান আনতে পারে না, এমন বার্তাও বিএনপিকে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ক্ষমতাসীন দলের কাছেও যুক্তরাজ্য অনুরোধ জানিয়েছে যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে যেন সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের অধিকার দেওয়া হয়। এই দূতাবাসগুলোর এই শঙ্কা এবং অভিমত শেষ পর্যন্ত আমাদের রাজনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে কিনা সেটিই এখন দেখার বিষয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭