ইনসাইড পলিটিক্স

নয়াপল্টনে বিএনপিকে দাঁড়াতেই দেওয়া হবে না


প্রকাশ: 02/12/2022


Thumbnail

আগামী ১০ ডিসেম্বর নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। বিএনপিকে ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোথাও বিএনপিকে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, এ ব্যাপারে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে এবং কোনোরকম সংঘাত-সহিংসতা যেন না হয় সে জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এর আগেও নয়াপল্টনে বিএনপি বিভিন্ন সময়ে জনসভা করতে চেয়েছিল কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে দাঁড়াতেও দেয়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন যে, বিএনপি এবার ঢাকার বাইরে থেকে প্রচুর লোক জড় করবে। আজ থেকেই ঢাকার বাইরে থেকে লোক আনা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ প্রশাসন আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিজয় দিবস সহ বিভিন্ন কর্মসূচি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য এবং এই সময় যেন কোনো নাশকতা বা অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে সেটি নিশ্চিত করার জন্যই পুলিশের এটি রুটিন অভিযান। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন যে, এই অভিযানের পেছেনে আগামী ১০ ডিসেম্বর একটি বড় ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে বিএনপি যেন নয়াপল্টনে সমাবেশ করে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথম বিকল্প হলো যে, তাঁরা নয়াপল্টন, কাকরাইল, মতিঝিল এলাকাকে অবরুদ্ধ করে রাখবে। এবং সেখানে যেন কোনো রকম সমাবেশ বা আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী কোনো কার্যক্রম না হয় সেটি নিশ্চিত করবে। দ্বিতীয় যে বিষয়টির দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী গুরুত্ব দিচ্ছে তা হলো এখানে যেন কোনো সন্ত্রাস-সহিংসতা ইত্যাদি না হয়। এই জন্য আগে থেকেই তারা প্রস্তুতি নেবে। কারণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ধরনের তথ্য আছে যে, সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বিএনপি নেতারা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করবে যেন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং পরিস্থিতি সহিংস হয়। আর সেটি যেন না হয় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখন থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আর সূত্রগুলো বলছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে এলাকাগুলোতে অবস্থান দিবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আর আজ থেকে আগামী এক সপ্তাহ সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখা হবে যেন কোনো রকম উশৃঙ্খলা বা নাশকতা সৃষ্টি না হয়। 

পুলিশ চাইছে যে শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। আর সর্বশেষ বিকল্প হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আছে যে, শেষপর্যন্ত যদি বিএনপির কিছু লোক নয়াপল্টনে জমায়েত হয় তারা যেন শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য হলো তিনটি। 

১. ১০ ডিসেম্বর যেন ঢাকা শহরের কোথাও হট্টগোল, সন্ত্রাস-সহিংসতা না হয়। 
২. সাধারণ মানুষের জানমালের যেন কোনো ক্ষতি না হয়। 
৩. জনগণের সম্পদ, গাড়ি-ঘোড়া বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটা নিশ্চিত করা। 

পুলিশের সূত্রগুলো বলছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং জনগণের জান-মালের হেফাজত রাখার জন্য যা করা দরকার সেটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর করবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭