এডিটর’স মাইন্ড

শেখ হাসিনার ম্যাজিক: চুপসে গেছে ষড়যন্ত্রকারীরা


প্রকাশ: 02/12/2022


Thumbnail

আবারও শেখ হাসিনার ম্যাজিক। বাংলাদেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে, বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে, সামনে মহাসংকট ইত্যাদি অপপ্রচার যারা করছিল। এবং এই অপপ্রচারের সুযোগে রাজনীতিতে উত্তেজনা এবং সহিংসতা সৃষ্টির যে নীলনকশা রচিত হয়েছিল তা হঠাৎ করেই চুপসে গেছে। নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করেছে। একদিকে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। যা গত ১১ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে তিন মাসের মধ্যে নভেম্বরে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে যে সংকটের কথা বলা হচ্ছিল তার কেটে গেছে। শুধু তাই নয়, এর মধ্যে ধানের উৎপাদনের বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাংলাদেশের খাদ্য মজুদ পরিস্থিতি সন্তোষজনক। ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে। 

গত দুই মাস ধরে শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য একের পর এক দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। বারবার তিনি বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। যার ফলে এখন বাংলাদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এর ফলে ষড়যন্ত্রকারীরা আবার কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে পাঁচটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। 

প্রথমত, ব্যয় সংকোচন নীতি বা কৃচ্ছ্বতা সাধণ নীতি। এর ফলে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সবক্ষেত্রে ব্যয় হ্রাসের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার ফলে এখন আমাদের অর্থনীতির ওপর অনেকটাই চাপ কমেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচন নীতির সুফল বাংলাদেশ পেতে শুরু করেছে।

দ্বিতীয়ত, তিনি অর্থ পাচারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এবং এর ফলে এখন যেভাবে খুশি এলসি খোলার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর অবস্থানে গিয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন যে, ১০০ এলসি তিনি বন্ধ করেছেন, যেগুলোতে আশ্চর্যজনকভাবে ওভার ইনভয়েসিং হয়েছিল। ওভার ইনভয়েসিং এর মাধ্যমে অর্থপাচারের যে কৌশল সেটির লাগাম টেনে ধরা হয়েছে। ফলে আমাদের আমদানি অযাচিত আমদানি ব্যয় এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর উপর চাপ কমেছে।

তৃতীয়ত, শেখ হাসিনা হুন্ডির মাধ্যমে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যাপারে কঠোর হওয়া এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার সুফলও বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পেতে শুরু করেছে। হুন্ডির ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি এবং কঠোর বিধিনিষেধের ফলে নভেম্বর মাসে রেমিটেন্স প্রবাহ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে, রেমিটেন্স এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এর উপর যে চাপ সেই চাপ অনেকটাই কমিয়ে তুলতে পারবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

চতুর্থত, শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির উপর নজর দিয়ে ছিলেন এবং তিনি এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে সেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তার সুফল এখন বাংলাদেশে পাচ্ছে, ধানের ফলন বাম্পার হচ্ছে। সামনের মৌসুমগুলো আরও উৎপাদন বাড়বে এবং বাজারের বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ে যে আহাজারি ছিল সেটিও কমে গেছে। 

পঞ্চমত, বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্র প্রধানমন্ত্রীর গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিদ্যুৎ সংকট অনেকটাই কমে গেছে। এবং সামনে অনেকগুলো নতুন বিদ্যুৎ সঞ্চালন কেন্দ্রের চালু হতে যাচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎ সংকট বাংলাদেশকে কাহিল করতে পারবে না। ফলে শেখ হাসিনার ম্যাজিক আবার দেখল বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে ঘিরে এবং সরকারকে উৎখাতের যে নীলনকশা রচিত হয়েছিল তা এখন পিছু হটতে বাধ্য হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

পরিকল্পনা ছিল যে, অর্থনৈতিক সংকট যতই বাড়বে তাকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত করা হবে এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে সরকারকে কুপোকাত করা হবে। কিন্তু শেখা ম্যাজিকে তা এখন ভেস্তে যেতে বসেছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭