ইনসাইড বাংলাদেশ

পাহাড়ে সম্প্রীতি ফেরাতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে


প্রকাশ: 02/12/2022


Thumbnail

শান্তিচুক্তির ২৫ বছর পরেও পাহাড়কে অশান্ত করতে তৎপর একটি গোষ্ঠী। সেখানে বেড়েছে জঙ্গি তৎপরতা, দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। তথাকথিত সুশীল সমাজ শান্তিচুক্তি নিয়ে গুজব এবং প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। বিদেশিদের কাছে সেই দেশবিরোধী অংশ বোঝানোর চেষ্টা করে যে শান্তিচুক্তি করে কোন লাভ হয়নি।

শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘পাহাড়ে সম্প্রীতি’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব অভিযোগ তুলে ধরে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে সরকার এবং সেনাবাহিনীর পাশাপাশি দেশপ্রেমী সবাইকেও এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়। শান্তিচুক্তি হওয়ার পরেও সেখানের সম্প্রীতি নিয়ে আলোচনা কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন বক্তাদের। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ও সম্প্রীতি বাংলাদেশ এর যুগ্ম আহবায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ। বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের নির্বাহী সদস্য শেখ এনায়েত হোসেন বাবলু, রাজনৈতিক বিশ্লেষক সুভাস সিংহ রায়সহ অনেকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, পাহাড়ের শান্তি নষ্টের জন্য দায়ী সামরিক শাসকরাই। পাহাড়ে পাহাড়ি বাঙ্গালি সমস্যা আগের মতো নাই। স্থানীয় জাতি গোষ্ঠীর নিজেদের মাঝে এখন সমস্যা বেশি। অতীতে সব সামরিক সরকার উলফাসহ সীমান্তে সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন দেশের ভেতরের কিছু জঙ্গি পাহাড়ে আস্তানা গাড়ছে। এর পেছনে কারা আছে তা জাতি বোঝে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে খালেদা জিয়া গ্রেনেড মেরে শেখ হাসিনাকে মেরে ফেলতে চেয়েছেন ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই খালেদা জিয়াকেই এখন শেখ হাসিনার অনুকম্পায় জেলের বাইরে বাসায় আরামে থাকতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান সমস্ত খুনিদের একসাথে করে পাহাড়ে আশ্রয় দেওয়ায় এখনও পাহাড়ে অশান্তি দেখা যায়।

চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সত্যিকারের লাশ আছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানতে চান, সেখানে জিয়াউর রহমানের লাশের কথা বলে বস্তা ভর্তি ইট রাখা হয়েছে কিনা। জিয়ার কবর বলে খালেদা জিয়া কার কবর জিয়ারত করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন কে এম খালিদ। পৃথিবীর যেকোনো জায়গা খেকে গবেষক এনে চন্দ্রিমা উদ্যানে গবেষণা করে সেখানে কার কবর আছে তা চিহ্নিত করার কথা বলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান এবং শান্তিচুক্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত অধ্যাপক আব্দুল মান্নান বলেন, পাহাড়ে জমি সংক্রান্ত সবচেয়ে বড় বিরোধ ছিলো। তা অনেকটাই কেঁটে গেছে। পাহাড়বাসী মেনে নিয়েছেন। বরং বাঙ্গালিদের কিছু আপত্তি থাকলেও তা নিয়ে বাজে কোনো প্রতিক্রিয়া কেউ দেখাননি। আজ কেবল পাহাড়ে সম্প্রীতির কথা না বলে আমাদের সবার দেশের সম্প্রীতির কথা বলা উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহবায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়ের শান্তিচুক্তির ২৫ বছর কেটে গেছে। চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৮টি আর ১৫টি আংশিক, ৮টি বাস্তবায়নের কাজ চলছে। হয়েছে রাস্তাসহ অবকাঠামো উন্নয়ন।

চুক্তির নানা দিক তুলে ধরে পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই চুক্তির ফলে পাহাড়ের রাজনৈতিক প্রকাশ্যে এসেছে। পাহাড়ের শান্তি ফেরাতে শুধু সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর ওপর নির্ভর থাকলে হবে না সকলে এক সাথে কাজ করার কথাও জানান তিনি।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭