ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বৈরাচার পতনের সেই দিন আজ


প্রকাশ: 04/12/2022


Thumbnail

১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ক্ষমতা দখল করে একটি সামরিক আইন জারি করেন এরশাদ। সেই আইনে আকারে-ইঙ্গিতে কেউ তার সামরিক শাসনের সমালোচনা বা বিরোধিতা করলে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে ছাত্ররা প্রথম থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা এরশাদের ক্ষমতা দখলের প্রথম দিন থেকেই বিক্ষোভ মিছিল করে।

ক্ষমতার মসনদে টিকে থাকতে এরশাদ আন্দোলন-সংগ্রাম প্রতিহত করতে বহু মানুষ হত্যা করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নুর হোসেন, যার বুকে পিঠে লেখা ছিল ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক’, ডা. শামসুল আলম মিলন, কমরেড তাজুল, যুবনেতা টিটো, জেহাদ, সাহাদাত হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন ও ইব্রাহিম সেলিম, ঢাকা পলিটেকনিকের ছাত্র মনিরুজ্জামান, আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিনসহ অগুনতি মানুষের রক্তের স্রোতে ভিজে গিয়েছিলো রাজপথ।

বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহে স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান হতে থাকে। সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আন্দোলনের সাথে দেশের জনগণ সম্পৃক্ত হলে তা গণআন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ৮ দল, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৭ দল ও বামপন্থীদের ৫ দলীয় জোট এবং ছাত্রদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের এই দিনে (৪ ডিসেম্বর) স্বৈরাচার হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। পরেরদিন তিন দলীয় জোটের সকল রাজনৈতিক দলের অনুরোধে বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণে সম্মত হন। আর এর মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭