প্রকাশ: 04/12/2022
‘ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি’ (ভিএআর) আতংকে
ফুটবলাররা। গোল করেও উল্লাস করতে পারছেন না। তাকিয়ে আছেন রেফারির দিকে। রেফারি কানে লাগানো যন্ত্রে কারও সঙ্গে কথা বলছেন কি না। কথা বলতে
দেখলেই মনে ভয় শুরু হয়। গোলটা বুঝি আর হলো না।
গ্রুপ
পর্বের ৪৮টি ম্যাচে ভিএআর-এর সিদ্ধান্তে বাতিল
হয়েছে মোট ১৭টি গোল।
তার মধ্যে ওপেন প্লে থেকে
৯টি গোল বাতিল হয়েছে।
অর্থাৎ ফুটবলার গোল দেওয়ার পরে
ফাউলের কারণে সেই গোল বাতিল
করেছেন রেফারি। ৮টি গোল বাতিল
হয়েছে অফসাইডের কারণে। আর এর মূলে রয়েছে‘ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি’ বা ভিএআর।
কাতার
বিশ্বকাপে ৮টি পেনাল্টি দিয়েছেন
রেফারিরা। তার মধ্যে অবশ্য
৫টি পেনাল্টি মিস করেছেন ফুটবলাররা।
ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনার পক্ষে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে
অবশ্য বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু মেসির শট বাঁচিয়ে দেন
পোল্যান্ডের গোলরক্ষক শেজনি।
আবার
ভিএআর-এর সাহায্যে পেনাল্টি
বাতিলও হয়েছে। বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে পেনাল্টি দিয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু পরে সেই পেনাল্টি
বাতিল করেন রেফারি। কারণ
ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলারকে ফাউল করার আগে
তাদেরই এক ফুটবলার অফসাইডে
ছিলেন।
ভিএরআর-এর সাহায্যে গোলও
হয়েছে এবারের বিশ্বকাপে। দুটি গোল অফসাইডের
কারণে বাতিল করেছিলেন লাইন্সম্যান। কিন্তু পরে ভিএআর সেই
সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়।
তবে
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য, এবারের বিশ্বকাপে ভিএরআর-এর সাহায্যে লাল
কার্ড। ইরানের বিরুদ্ধে ওয়েলসের গোলরক্ষক ওয়েন হেনসি ফাউল
করেন। বক্সের বাইরে ইরানের মেহেদী তারেমিকে ফাউল করেন তিনি।
প্রথমে রেফারি হলুদ কার্ড দেখান।
কিন্তু পরে ভিএআর-এর
সাহায্য নিয়ে লাল কার্ড
দেখান রেফারি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭