ইনসাইড পলিটিক্স

অ্যাকশনে পুলিশ: বিএনপিকে কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে দেবেনা


প্রকাশ: 04/12/2022


Thumbnail

গতরাত থেকে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ বলা হয়েছে, ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশের এই বিশেষ অভিযান চলবে। গতকাল পুলিশের পক্ষ থেকে বেশকয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্লকরেইড করা হয় এবং বেশকিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজও এই অভিযান চলবে এবং বিজয় দিবসের কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। পুলিশের এই অ্যাকশনের মূল উদ্দেশ্য হলো ১০ ডিসেম্বরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এ ধরনের যথেষ্ট খবর রয়েছে যে, বিএনপি এবং কিছু জঙ্গি সংগঠন মিলে ১০ ডিসেম্বর নাশকতা করবে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা রিপোর্ট দিয়েছে যে, বিএনপি মূলত পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়ে ১০ ডিসেম্বরে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইছে।

প্রথমত, তারা নয়াপল্টনে সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথ দখল করবে এবং জনসমাগম যদি শেষ পর্যন্ত বেশি হয় তাহলে তারা সেখানে অবস্থান নিবে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত যেরকম অবস্থান নিয়েছিলো।

দ্বিতীয়ত, অলিতে-গলিতে বিক্ষোভ মিছিলের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং জ্বালাপোড়াও করে তারা একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে।

তৃতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তারা মারমুখী আচরণ করবে এবং এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইবে যেন সহিংসতা হয় এবং লাশ পড়ে। তাহলেই আন্দোলন তীব্র গতি পাবে এবং এতে সরকার দুর্বল হয়ে পড়বে।

চতুর্থত, ১০ ডিসেম্বরের আগেই বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি তৎপরতা বেগবান করা হবে যেন সরকার চাপের মুখে পড়ে।

পঞ্চমত, আওয়ামী লীগকে উত্তেজিত করা হবে এবং আওয়ামী লীগ-বিএনপির সহিংসতা এবং ভাংচুরের মাধ্যমে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করা হবে।

কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির এই পরিকল্পনাগুলো জানার প্রেক্ষিতে শুরু থেকেই উদ্যোগ গ্রহণ করছে। আর এই উদ্যোগের ফলে এখন বিএনপি কিছুটা কোণঠাসা হয়েছে। পুলিশ বলেছে যে, তাদের অ্যাকশনে অব্যাহত থাকবে এবং কোনো অবস্থাতেই কোনো পরিস্থিতি তৈরি করতে দেয়া হবে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে যে, একবার যদি বিএনপি জমায়েত হয় তাহলে তারা ছোটখাটো ভাঙচুর করবে। এজন্য ১০ ডিসেম্বরের আগেই তারা আবর্জনা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যেন ১০ ডিসেম্বর কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয়। এ কারণেই জঙ্গি আস্তানাগুলো এবং সম্ভাব্য যারা গোলযোগ করতে পারে, গণ্ডগোল করতে পারে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। আর নয়াপল্টন পুরোপুরিভাবে পুলিশের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার আওতায় চলে আসবে। ফলে নয়াপল্টনে বিএনপির কোনো সমাবেশ হবে না। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, একজন লোক থাকলেও বিএনপির সমাবেশ নয়াপল্টনে করা হবে। কিন্তু এটির ফলে বিএনপির যে মহাসমাবেশের ধারণা বা মহাসমাবেশকে ঘিরে রাজনৈতিক পরিকল্পনা তা ভেস্তে যাবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, শেষপর্যন্ত যদি জনসভার স্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বিএনপি মেনে নেয় তাহলে বিএনপিকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা, তারা যে অ্যাকশনে যাচ্ছে তার ফলে ১০ ডিসেম্বর ঢাকা শান্তিপূর্ণ থাকবে, কোনো গোলযোগেরই শঙ্কা হবে না। বিএনপি যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করার কোনো সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭