ইনসাইড বাংলাদেশ

৫ ইস্যুতে মনোযোগী সরকার


প্রকাশ: 04/12/2022


Thumbnail

বিএনপির আন্দোলন নয়, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে কি করবে না সেটি নিয়েও নয়। বরং পাঁচটি ইস্যুতে সরকার মনোযোগী হয়েছে। আগামী নির্বাচনের আগে এই পাঁচটি ইস্যুতে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে একটি স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনে যেতে চায় এবং টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আসতে চায়। আওয়ামী লীগ মনে করছে যে, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যদি সহনশীল থাকে, জনগণ যদি ভাল থাকে তাহলে বিএনপির আন্দোলন বা উস্কানিতে কোনো লাভ হবে না। বিএনপির নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কেউ জলও ঘোলা করতে পারবে না। আর এ কারণেই পাঁচটি অগ্রাধিকার ইস্যুকে সরকারের পক্ষ থেকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পাঁচটি ইস্যুতে তড়িৎ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এই ইস্যুগুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. রপ্তানি আয় বৃদ্ধি: সরকারের এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হলো রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা। নভেম্বরে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি হয়েছে, এই ধারা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য তিনি সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছেন।

২. প্রবাসী আয় বৃদ্ধি: প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন। হুন্ডি এবং অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে যেন প্রবাসীরা টাকা না পাঠান সেজন্য প্রবাসীদেরকে উদ্বুদ্ধ করা, সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং অপপ্রচারের জবাব দেওয়ার জন্য সরকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে যেন পরিস্থিতি উন্নতি হয়, সে ব্যাপারে সরকার নজর রাখছে।

৩. অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করা এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা: যারা বিভিন্নভাবে অর্থ পাচার করেছে, যারা ওভার ইনভয়েসিংসহ বিভিন্নভাবে অর্থ পাচার করেছে তাদেরকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং এই সমস্ত চিহ্নিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদেরকে টাকা ফিরিয়ে আনতে বাধ্য করার ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই সরকার ভেতরে ভেতরে এ নিয়ে কাজ শুরু করেছে এবং যে সমস্ত বড় বড় রাঘববোয়াল অর্থ পাচারকারী আছেন তাদেরকে জালের মধ্যে নিয়ে আসার উদ্যোগ এখন বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

৪. ঋণখেলাপি এবং ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: সরকার ঋণখেলাপি এবং ব্যাংক লুটেরাদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ছাড় দিয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সম্প্রীতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ ব্যাপারে তার কঠোর বার্তা দিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, এরা যারাই হোক না কেন, এদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক যেন কঠোর হয় এবং ঋণ খেলাপিদেরকে আর কোনো আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং সহযোগিতা না করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

৫. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা: সরকার জানে যে দ্রব্যমূল্যের অবস্থা অনেকটাই নাগালের বাইরে। এই অবস্থা থেকে দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসা এবং আগামী রমজানে যেন দ্রব্যমূল্য নিয়ে কোনো রকম পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, মজুদ নিয়ন্ত্রণে রাখা। এই সমস্ত বিষয় গুলোকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ইতিমধ্যে এ নিয়ে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়াও প্রধানমন্ত্রী নিজে সার্বক্ষণিকভাবে এই পাঁচটি বিষয়ে খবর রাখছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে এই পাঁচটি বিষয়ের ওপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, তাহলে অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী থাকবে। আওয়ামী লীগ মনে করছে, অর্থনীতির ভিত যদি শক্তিশালী তাহলে সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক আন্দোলন বা ষড়যন্ত্র জনগণ পাত্তা দেবে না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭