আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কুড়িগ্রামের কৃষকরা। তবে তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বাড়ার দাবি তাদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৬০ হেক্টরের বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভুট্টার সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে চরাঞ্চল। বিঘার পর বিঘা জমিতে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টায় খরচ কম বলে চাষে ঝুঁকছেন তারা।
সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের কৃষক জুয়েল আহমেদ বলেন, এ বছর পাঁচ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি ৩০-৩২ মণ ভুট্টা পাওয়া যায়। মনপ্রতি ১০-১২ হাজার টাকা লাভ হবে বলে জানান তিনি।
অন্যান্য কৃষকরা বলেন, প্রতি বছর চরের জমিগুলেতে বিভিন্ন ধরনের রবিশস্য, মসুর, বাদাম ও আলু চাষ করি। এ বছরই প্রথম ভুট্টা চাষ করলাম। গাছের ধরণ দেখে মনে হচ্ছে এবারে ভুট্টা থেকে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। ইরি-বোরোসহ অন্যান্য আবাদের চেয়ে ভুট্টা চাষে সার-কীটনাশক কম লাগে। ফসল তোলা পর্যন্ত কোনো বাড়তি ঝামেলা নেই। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় এ চাষে দ্বিগুণ লাভ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, জেলায় সাড়ে ৪ হাজার চাষিদের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। তাদের সার-বীজ দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা রোপণ করা হয়েছে। আশাকরি ভুট্টা চাষে গত বছরের তুলনায় বেশি লাভবান হবেন কৃষকরা।