প্রকাশ: 06/12/2022
কাতার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে
আজ মঙ্গলবার রাতে মরক্কোর বিপক্ষে মাঠে নামছে ফিফা বিশ্বকাপ-২০১০ চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াকে রুখে
দিয়ে গ্রুপ পর্ব পেরোয় আফ্রিকার দেশ মরক্কো। গোলশূন্য ড্র হয় ম্যাচটি। বেলজিয়ামকে হারায়
২-০ ব্যবধানে। এছাড়া কানাডার বিপক্ষে ২-১ জয় নিয়ে নকআউট পর্বে উঠে যায় মরক্কো।
এদিকে, বিশ্বকাপের আগে থেকেই দলের ফুটবলারদের
বিশেষ একটা ‘হোমওয়ার্ক’ দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকে। যে কারণে স্প্যানিশ কোচ
আত্মবিশ্বাসী, মরক্কোর বিরুদ্ধে ম্যাচ টাইব্রেকে গড়ালেও তাদের জিততে সমস্যা হবে না।
সেই ‘হোমওয়ার্ক’ কী ছিল? এনরিকেই জানিয়েছেন,
তিনি প্রত্যেক ফুটবলারকে এক হাজার করে পেনাল্টি অনুশীলন করতে দিয়েছিলেন!
নিজেদের গ্রুপ থেকে ক্রোয়েশিয়া আর বেলজিয়ামকে
টপকে শীর্ষ হয়ে নকআউট পর্বে উঠে যায় মরক্কো। স্পেন আবার জাপানের কাছে হেরে গ্রুপে দ্বিতীয়
হয়ে মরক্কোর সামনে পড়েছে। যে লড়াই আজ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
২০১৭ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বার টাইব্রেকে
লড়াই করতে হয়েছিল স্পেনকে। কোয়ার্টার ফাইনালে সুইৎজারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে
ইতালির কাছে হার মানতে হয় স্পেনকে। এবার যাতে সে রকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেজন্য
মরিয়া এনরিকে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন,
“বছর খানেক আগে জাতীয় শিবিরে গিয়ে আমি ফুটবলারদের একটা কথাই বলতাম। বিশ্বকাপের আগে
তোমাদের একটা হোমওয়ার্ক করতে হবে। ক্লাবের হয়ে তোমাদের অন্তত এক হাজার পেনাল্টি মারতে
হবে। জাতীয় দলের অনুশীলনের সময় এই ভাবে পেনাল্টি নেওয়া অভ্যাস করানো সম্ভব হয় নয়।”
টাইব্রেকার মানেই যে ব্যাপারটা ভাগ্যের
হাতে চলে গেল, এমনটা মানতে রাজি নন স্পেনের কোচ। এনরিকে বলেছেন, “আমার মনে হয় না এটা
একটা লটারি। তুমি যদি ভাল মতো অনুশীলন করো, তাহলে তোমার পেনাল্টি নেওয়ার দক্ষতা বেড়ে
যাবে। হ্যাঁ, মানছি চাপ নেওয়াটা ট্রেনিংয়ে অভ্যাস করা যায় না। কিন্তু ঠিক মতো অনুশীলন
করতে পারলে আসল সময় ওই চাপটা নেওয়া সম্ভব হয়।”
টাইব্রেকের ক্ষেত্রে গোলকিপারদেরও যে
বড় ভূমিকা থাকে, সে কথাও বলেছেন এনরিকে। তার মতে, “ভাগ্যের উপরে ব্যাপারটা নির্ভর
করে থাকে না। টাইব্রেকে প্রধান ভূমিকা নেয় গোলকিপার। আমার দলের তিন গোলকিপারই পেনাল্টি
বাঁচানোয় দক্ষ।”
গ্রুপ পর্বে নিজের দলের খেলাকে ‘বি
প্লাস’ দিচ্ছেন এনরিকে। তিনি আলাদা করে জাপান ম্যাচের ১৫ মিনিটের কথা বলেছেন, যেখানে
প্রতিপক্ষ স্পেনকে ‘‘পিষে দিয়েছিল।” এনরিকের মন্তব্য, “আমাদের ধারণাটা পরিষ্কার। সব
প্রতিপক্ষকে ৯০ মিনিট শাসন করার প্রয়োজন নেই। মনে রাখতে হবে, বিশ্বকাপে সেরা দল, সেরা
কোচেদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়।”
শেষ ষোলোর প্রতিদ্বন্দ্বী মরক্কোকে
নিয়ে এনরিকে বলেছেন, ‘‘মানসিকভাবে মরক্কো এখন দারুণ জায়গায় আছে। একটা খুব কঠিন গ্রুপ
থেকে ওরা সেরা দল হয়ে এসেছে।”
তবে মরক্কোর বিপক্ষে ভাল করার ব্যাপারে
আত্মবিশ্বাসী স্পেনের কোচ। এনরিকের কথায়, “ট্রেনিংয়ে যা দেখেছি, তাতে আমার দল নিয়ে
আমি খুশি। আমি নিশ্চিত, পরের রাউন্ডে চলে যেতে পারব।”
শেষ চার বিশ্বকাপে একবারই শেষ ষোলোর
গণ্ডি পেরোতে পেরেছে স্পেন। সেই ২০১০ সালে যখন তারা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছিল। এনরিকে
বলেছেন, “আমি ফল নিয়ে ভাবতে চাই না। কোচ হিসেবে যে ব্যাপারটা আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব,
সেটা নিয়েই ভাবতে চাই। দলের ফুটবলারদেরও সেটা বলে দিয়েছি। ফলের কথা মাথায় রেখো না।
ফল ঠিক পাওয়া যাবে।”
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭