ইনসাইড টক

‘সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে গণজাগরণের লক্ষ্যে কর্মসূচি করছি’


প্রকাশ: 13/12/2022


Thumbnail

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, আমরা বেশ কয়েক ধরনের কর্মসূচি পালন করে থাকি। এর মধ্যে কতগুলো আমরা করি সরাসরি জনজীবন ইস্যুতে। যেমন, গতকাল আমরা করেছি লুটপাটকারীদের পাচারকৃত টাকা ফেরত আনা। বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। আমরা অনেক সময় গণতন্ত্রহীনতার বিরুদ্ধে করি। আমাদের এ সমস্ত কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের কাছে যাওয়া এবং আমরা সেটা করতে পেরেছি। আমরা জনজীবনের সংকটে যে কর্মসূচিগুলো করি তাকে দেখি যে, জনগণ আমাদের পক্ষে অবস্থান নেয়। এ সমস্ত কর্মসূচি এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের মধ্যে আগ্রহও লক্ষ্য করা যায়। দিন দিন যাওয়ার সাথে সাথে আমাদের জন সমর্থন বাড়ছে এবং আমাদের সংগঠনের ব্যাপ্তিও দিন দিন বড় হচ্ছে। 

অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতো মাঠে কর্মসূচি পালন করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। 'গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের প্রতিবাদে এবং ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠায়' আজ দেশব্যাপী প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এ নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রুহিন হোসেন প্রিন্স এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য রুহিন হোসেন প্রিন্স এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।

রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, এ সমস্ত কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা সরকারকে নাড়া দিতে পেরেছি। তবে তার চেয়ে বড় কথা হলো কোনো ধরনের সরকার আছে এবং সে নাড়া খাবে কি খাবে না তার ওপর নির্ভর করছে। যদি সরকার গণতান্ত্রিক হয় তাহলে সে জনগণের কথা শুনবে। কিন্তু সরকার যদি স্বৈরচারী হয় তাহলে সে জনগণকে উপেক্ষা করবে এটাই স্বাভাবিক। এখন সরকার বিবেচনা করবে সে কি ধরনের সরকার। স্বৈরচারী সরকার হলে সে আমাদের কথা শুনবে। সে ক্ষেত্রে তাকে শোনা বাধ্য করতে হবে। আমরা সে কাজটি করছি। আমাদের লক্ষ্য হলো গণজাগরণ সৃষ্টি এবং গণসংগ্রাম তৈরি করা। আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমােদের সফলতা হলো আমরা জনগণকে বুঝাতে পেরেছি এবং তাদের সমর্থনও পেয়েছি।

দেশের বাম গণতান্ত্রিক দলগুলোর সাংগঠনিক দুর্বলতার ব্যাপারে জানতে চাইলে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, দেশের বাম গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো কখনোই দুর্বল ছিল না। সমস্যা হলো আমাদের শক্তির জনগণের কাছে প্রকাশ করা হচ্ছে না। বরং জনগণের কাছে এক ধরনের দ্বিধা তৈরি করা হচ্ছে। দেশের গণমাধ্যমগুলোর আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মধ্যেই সীমাবদ্ধ আছে। তারা খোঁজার চেষ্টা করে কে আওয়ামী লীগের সহযোগী আর কে বিএনপির সহযোগী। আমরা একটি কর্মসূচি করি কিন্তু সে কর্মসূচির খবর সব গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে না। এ সমস্ত কারণে আমাদের সাংগঠনিক শক্তি সম্পর্কে জনগণ জানতে পারে না। গ্রামগঞ্জে আমাদের আন্দোলন হয় কিন্তু মিডিয়াতে সেগুলো আসে না। ফলে জনগণ মনে করে এদের বুঝি সাংগঠনিক শক্তি নেই। কিন্তু তাদের সেই ধারণা ভুল।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭