প্রেস ইনসাইড

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতা: প্রথম আলোর মিশন অব্যাহত


প্রকাশ: 13/12/2022


Thumbnail

গত নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে হঠাৎই গুজব উঠে ব্যাংকে টাকা নেই। আমানতকারীরা যেন ব্যাংক থেকে তারা তাদের টাকা তুলে নেয়। হঠাৎ এমন গুজব অস্থির হয়ে উঠে দেশের ব্যাংকিং খাত। গ্রাহকের আস্থার সংকটে পড়ে ব্যাংকগুলো। এমন পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় যে, ব্যাংকগুলোতে যথেষ্ট টাকা আছে, উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের এমন পদক্ষেপে ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীলতা ফেরা মাত্রই এক পরিকল্পিত মিশনে নামে দেশের একটি বাংলা দৈনিক প্রথম আলো। গত ২৪ নভেম্বর দৈনিক প্রথম আলো ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ নামে একটি প্রতিবেদন করে ব্যাংকিং খাতকে অস্থির করে তুলতে এক পরিকল্পিত মিশনে নামে। সেই মিশনের পর দেশের ব্যাংকিং খাতের অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংকের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে বাস্তবতা অনুযায়ী দেখা যায় যে, ব্যাংকিং খাতে আসলে সে ধরনের কোনো সংকট নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এমন তৎপরতার কারণে ব্যাংকিং খাত আবার স্থির হয়ে যায়। 

শুধু তাই নয়, এর আগে থেকেই সুশীল সমাজ নিয়ন্ত্রিত মূলধারা এই দৈনিক লাগাতার ভাবে ব্যাংকিং খাতকে অস্থির করে তোলার মিশনে নামে। গত ২২ নভেম্বর খেলাপি ঋণ কমাতে হবে শিরোনামে লিড নিউজ করে প্রথম আলো। ওই নিউজে বলা হয়, ছয় সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ, সেটিকে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার। ওই প্রতিবেদনে খেলাপি ঋণের প্রসঙ্গ দিয়ে নিউজ শুরু করা হলেও সামনে টেনে নিয়ে আসা হয় আইএমএফ শর্তগুলোকে। খেলাপি ঋণের প্রসঙ্গটি আসা হয় ব্যাংকিং খাতের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি করার উদ্দেশ্যে। প্রথম আলোর এই প্রতিবেদনের ফলে ব্যাংকিং খাতে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয় এবং অর্থনীতিতে একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেন। তিনি ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরার নির্দেশ দেন। প্রথম আলোর নিউজের সূত্র ধরে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে যে, প্রতিবেদনে যারা নাম উল্লেখ করা হয়েছে তারা অধিকাংশ ইসলামী ব্যাংকের পুরনো গ্রাহক। অনেক আগে থেকে ব্যাংকটির সঙ্গে তোদের লেনদেন তথ্য পাওয়া যায়।
 
এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরের দিন অর্থাৎ গত ২৩ নভেম্বর টাকাও এখন দামি হয়ে উঠছে শীর্ষক আরেকটি লিড নিউজ করে প্রথম আলো। ওই প্রতিবেদনে বলা হয় যে, মার্কিন ডলারের মতো টাকার দামও ধীরে ধীরে বাড়ছে। ব্যাংকগুলো আগের চেয়ে বেশি সুদে অন্য ব্যাংক থেকে টাকা ধার করছে। আবার কোনো কোনো ব্যাংক আমানতের সুদও বাড়াচ্ছে। এমন পরিস্থিতি হয়েছে মূলত ডলার বৃদ্ধি এবং সংকটের জন্য। কারণ, ডলার বিক্রি করে ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংক তুলে নিয়েছে। অর্থাৎ এই প্রতিবেদনটি যদি কেউ ভালো মতো পড়ে তাহলে বুঝতে পারবে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে তাকে পরিশীলিত ভাবে সত্য হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে। 

প্রথম আলোর ব্যাংকিং খাতকে অস্থির করে তোলার মিশন এখানেই শেষ নয়।  মুদ্রাস্ফীতির সাথে টাকা মান মূল্যায়ন করে ব্যাংকিং খাতে আরেকটা অনাস্থা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আজ ১৩ ডিসেম্বর ব্যাংকে টাকা রেখে ঠকছেন মানুষ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রথম আলো। যেখানে বলা হয়েছে যে, ব্যাংকে টাকা ঠকছেন আমানতকারীরা। ব্যাংক যে হারে সুদ দিচ্ছে, তার তুলনায় মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি। এতে প্রকৃত আয় কমে গেছে যাচ্ছে। এখন ব্যাংকে অর্থ রাখা মানেই লোকসান। অর্থাৎ, এই নিউজের মাধ্যমে প্রথম আলো মানুষের কাছে এই বার্তা দিচ্ছে যে, মানুষ যেন ব্যাংকে টাকা না রাখে। এর মধ্যে দিয়ে ব্যাংকিং খাতের ওপর অনাস্থা সৃষ্টি করতে চাইছে প্রথম আলো।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭