ইনসাইড বাংলাদেশ

হলুদ সরিষার ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন!


প্রকাশ: 14/12/2022


Thumbnail

দিগন্ত জুড়ে চির সবুজের বুকে কাঁচা হলুদের প্রলেপ। এ যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে অপরূপ রূপে আঁকা হলুদের আলপনায় চোখ জুড়ানো দৃশ্য। ফুলে ফুলে ভরে গেছে  ক্ষেত। মাঠে মাঠে হলুদ বরণ সরিষা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। হাসি ফুটেছে চাষির মুখে। ভাল ফলনের আশায় দিন কাটছে তাঁদের। সরিষা ফুলের মধু আহরণে নেমেছেন অনেকেই। অনেকেই সরিষা ক্ষেতে স্থাপন করেছেন মৌবাক্স। এতে পরাগায়ন ভাল হয়, ফলনও বৃদ্ধি পায়। বাড়তি মধু পাওয়া যায়। বাজারে সরিষা ফুলের মধুর চাহিদাও রয়েছে।  

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৫টি উপজেলায় সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছিল ১৭ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমি। এর বিপরীতে আবাদ হয়েছে ২১ হাজার ৪শ’ ৭০ হেক্টর জমি। এবার ৪ হাজার ৩শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে আবাদ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬ হাজার ৮০ হেক্টর, নাচোলে ৬ হাজার ৫শ’হেক্টর, শিবগঞ্জে ৪ হাজার ২শ’ হেক্টর, গোমস্তাপুরে ৩ হাজার ৩শ’ ২০ হেক্টর ও ভোলাহাটে ১ হাজার ৩শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষাবাদ করা হয়েছে। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল, বরেন্দ্র অঞ্চল আর নদীর ধারে সরিষার আবাদ। সামান্য পরিচর্যা আর অল্প খরচে সরিষা চাষে লাভের আশা করছেন চাষিরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দু’টোই কম হওয়ায় চাষীদের মধ্যে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।


সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল খালেক জানান, ‘আমন ধান কাটার পর জমি কয়েক মাসের জন্য পতিত পড়ে থাকে। আর সেই সুযোগেই  অতিরিক্ত ফসল হিসেবে সরিষা চাষ শুরু করি। আবহাওয়া অনুকূলে এবং রোগ-বালাই না হলে ভালো ফলনের আশা রয়েছে।’

সাইদুর রহমান নামের অপর এক চাষি জানান, ‘বিঘা প্রতি সরিষা চাষে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। শুধুমাত্র বীজ ও আর সামান্য সার দিলেই সরিষা আবাদ করা যায়।’ 

শিবগঞ্জের চাষি ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘সরিষা চাষে খরচ খুবই কম ও পরিশ্রমও কম লাগে। যার কারণে চরাঞ্চলে সরিষা চাষাবাদ বাড়ছে। বিঘায় ৫ থেকে সাড়ে ৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়।’ 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনোভা জানান, সরিষা চাষে কৃষকদের সার্বিক পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। উপসহকারী কর্মকর্তারা নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন। এ বছর সরিষার ভালো ফলনের হাতছানি দিচ্ছে। 

এ প্রসঙ্গে  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, সরিষা চাষে কৃষকরা যেভাবে আগ্রহ দেখাচ্ছেন, তা খুবই ইতিবাচক। এটি কৃষি ক্ষেত্রে আরেকটি সাফল্য। চাষাবাদে খরচের পরিমাণ কম ও পানি ২ থেকে ৩ বার দিলেই হয়। বারি ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ জাতের এবং বিনা ৪ ও ৯ জাতের সরিষা জেলায় আবাদ হয়েছে। দেশি জাতের সরিষার ৭০ থেকে ৭৫ দিনে ফসল উৎপাদন এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ৭৫ থেকে ৮০ দিনের ফলন হয়ে থাকে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭