ডিসেম্বর ঘিরে ভয়ংকর যত পরিকল্পনা!

১০ ডিসেম্বর নিয়ে শঙ্কা দূর হয়েছে ঠিকই কিন্তু ডিসেম্বর ঘিরে নয়। পুরো ডিসেম্বর ঘিরে রয়েছে এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। ডিসেম্বর মাস বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব এবং আনন্দের মাস এটি। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের মানচিত্র এবং রক্তে রঞ্জিত পতাকা। বিজয়ের মাস এলেই বাঙালি উৎসবে মেতে ওঠে। পয়লা ডিসেম্বর থেকে বিজয় দিবস পর্যন্ত নানা রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসাহ উদ্দীপনা, আলোচনা-সেমিনার ইত্যাদির মধ্য দিয়ে পুরো দেশে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিজয়ের মাস এবার অনেক আতঙ্কের, অনেক উৎকণ্ঠার, নানারকম অনিশ্চয়তার দোলাচলে দুলছে। কারণ এই মাস ঘিরেই নানা রকম ভয়ংকর সব পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে।

আগামীকাল ১৬ ডিসেম্বর। বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন। বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড আর সবুজের বুকে লাল সূর্য খচিত নিজস্ব জাতীয় পতাকা। পুরো মাস জুড়েই বিজয় উৎসব পালন করবে বাঙালি জাতি। কিন্তু সেই বিজয় উৎসব আতঙ্কিত করে তুলেছে বিভিন্ন গোষ্ঠী, সংগঠন। মহান বিজয়ের পরের দিন আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে হেফাজত। ১৩ দফা দাবিতে এই সমাবেশ করা হবে বলে সংগঠনটির সূত্রে জানা গেছে। উল্লেখ, ২০১৩ সালের ৫ই মে শাপলাচত্বর তাণ্ডব চালায় হেফাজত ইসলাম। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বর থেকে ক্ষমতায় যেতে প্রায় চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়েছিল হেফাজতের। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার জন্য দলের নেতাদের নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছিল হেফাজত ইসলাম।

এদিকে, ডিসেম্বরই সমান্তরাল কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি-জামায়াত। আগামী ২৪ ডিসেম্বর এই কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা করেছে তারা। যদি আপাতত সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নতু তারিখ জানানো হবে বলে জানা গেছে। তবে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে ডিসেম্বর ঘিরেই এসমস্ত পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে সেটি পরিষ্কার। এখন দেখা বিষয় ১০ ডিসেম্বরের মতো সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যায় কিনা।