বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিশেষ অভিযান

খুলনা-বেনাপোল-কলকাতা রুটে চলাচল কারি যাত্রী বাহী বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে চোরাচালান বহিরাগত প্রবেশ রোধে ও ষ্টেশনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে কাস্টমস, পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার( ১৫ ডিসেম্বর)  সকাল সাড়ে ১০ টার সময় বেনাপোল রেলস্টেশনে এ অভিযান পরিচালনা করে তারা।

বেনাপোল রেলস্টেশনে  সরেজমিনে দেখা যায়, ভারত থেকে আসা  বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনের বেশির ভাগ পাসপোর্ট যাত্রী চোরাচালানের সাথে জড়িত। এদের প্রায় প্রত্যেকে ভারত থেকে কম্বল,মদ,থ্রি-পিচ,চকলেট, মোবাইল,  আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধ সহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে এসেছে। তবে আজ বিজিবি কড়াকড়ি নজরদারির কারণে কম্বল,থ্রিপিচ,চকলেটের শুল্ক পরিশোধ করে মালামাল নিয়ে যেতে দেখা যায়। আর বেশ কিছু মদ, আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধসহ কয়েক ধরনের মালামাল বিজিবি আটক করেছে। 

এদিকে বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাতায়াত কারি পাসপোর্ট যাত্রীরা বলেন, তাদের ব্যবসার কারণে মাঝে মাঝে ভারতে যেতে হয়।যাতায়াতের সুবিধায় তারা বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে যায়। কিন্তু বর্তমানে এ বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি চোরাচালানকারী দের দখলে চলে গেছে। যার ফলে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এবং এ বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনে চোরাচালান কারিদের হাত থেকে মুক্ত করার দাবি জানান তারা।

বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন কর্মরত কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রীরা যে পরিমাণ বৈধ মালামাল নিয়ে আসতে পারবে তার থেকে অধিক পরিমাণে মালামাল নিয়ে এসেছে। এজন্য সে সব পাসপোর্ট যাত্রীর কাছ থেকে সে সব পণ্যে শুল্ক আদায় করে মালামাল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। 

যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, সপ্তাহে দুই দিন বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। এ ট্রেনটি চোরাচালান কারিদের দখলে চলে গিয়েছিলো। এজন্য  সাধারণ পাসপোর্ট যাত্রীরা স্বাভাবিক ভাবে যাতায়াত করতে পারছিলো না। যার ফলে চোরাচালান বহিরাগত প্রবেশ রোধে ও ষ্টেশনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে তারা রেলওয়ে পুলিশ, ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ দের সাথে নিয়ে আজ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে ভারতীয় মদ, আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধসহ বেশ কিছু মালামাল আটক করা হয়েছে। এবং চোরাচালান রোধে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।