ইনসাইড পলিটিক্স

ফখরুলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বিএনপি!


প্রকাশ: 16/12/2022


Thumbnail

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজনীতিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে সব মহলে তার পরিচিতি রয়েছে। যদি তার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। উল্লেখ্য যে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পিতা মির্জা রুহুল আমিন একজন যুদ্ধাপরাধী। ছাত্রজীবনে ফখরুল রাজনীতি করলেও কর্ম জীবনে তিনি শিক্ষকতাকে বেছে নেন। তবে শিগগির নিজের গণ্ডি রাজনীতিতে আবারও ফিরে আসেন। নিজের মেধা আর শ্রম দিয়ে রাজনীতিতে নিজের স্থান করে নিয়েছেন।  চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলে প্রথমে কৃষি মন্ত্রণালয় ও পরে বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মির্জা ফখরুল।

২০১১ সালের ২০শে মার্চ বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব খন্দকার দেলওয়ার হোসেন মৃত্যুবরণ করার পর দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হন তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ দলটির ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত মুক্ত হয়ে বিএনপির মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন মির্জা ফখরুল ইসলাস আলমগীর। সেই থেকে নিজের মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে দলকে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু দলকে নিজের সর্বস্ব দিলেও শেষ পর্যন্ত দলই যেন তার সাথে প্রতারণা করলো। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যখন বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলনকে একটা পর্যায় নিয়ে গেলো তখন দল তার সাথে প্রতারণা করলো। ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি। ওই দিন সরকার পতনের পরিকল্পনা নিয়েছিল বিএনপি। দলের নেতারা বলেছিলেন যে, ১০ ডিসেম্বরের পর সরকারের কথায় দেশ চলবে না। বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কথা দেশ চলবে। দলের নেতাদের এমন মন্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, ‘১০ ডিসেম্বর কিছু হবে না। আমি দলের মহাসচিব, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, ১০ ডিসেম্বর কিছু হবে।’ তবে দলের অন্য শীর্ষ নেতৃবৃন্দ যেকোনো মূল্যে ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। সেই লক্ষ্যে সমাবেশের তিন দিন আগেই নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থান গ্রহণ নিতে শুরু করেছিল বিএনপি। দলের সিদ্ধান্তে মির্জা ফখরুল সেদিন অনেকটা বাধ্য হয়েই নয়াপল্টনে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। যেখানে দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব ছিলেন লাপাত্তা। এরপর পুলিশের সাথে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলেও কর্মীদের ছেড়ে যাননি তিনি। 

সমাবেশের আগের দিন নয়াপল্টনে সংঘর্ষের ঘটনায় পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সংঘর্ষের ঘটনার দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নেতা আমানউল্লাহ আমান গ্রেফতার হয়ে জামিন পেলেও এখনো জামিন পাননি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল। ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে অভিযোগ উঠেছে মির্জা ফখরুলের সাথে প্রতারণা করেছে বিএনপি। বিশেষ করে নয়াপল্টনের ঘটনায় একাংশ কর্মী-সমর্থকদের রক্তের ওপর দিয়ে সমাবেশের আগের রাতে অনুমতির নাটক সাজাতে বিএনপি ডিএমপির প্রধান কার্যালয়ে গিয়েছিলো বলে অভিযোগ রয়েছে। যার ভুক্তভোগী হতে হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে।

এব্যাপারে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজাজ্জ বলেন, বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ প্রতারণা করেছে। পল্টনে নেতা-কর্মীদের অবস্থানের নির্দেশনা দিয়ে এবং কর্মী-সমর্থকদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করে বিএনপির নেতৃত্ব যখন ডিএমপির কাছে ১০ ডিসেম্বরের আগের রাতে অনুমতি চাইতে গেলো তখনই তাঁদের আন্দোলন উদ্দেশ্যহীন হয়ে পড়েছিলো।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭