ঢাকাই ছবির সর্বকালের অন্যতম সফল অভিনেত্রী শাবনূর। সিনেমা পাড়ায় একটা কথা প্রচলিত আছে, দর্শক শুধু তাকে দেখার জন্যই সিনেমা হলে যেতেন। নব্বই দশকে জনপ্রিয়তার আকাশ ছুঁয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বিয়ে করে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে পাড়ি জমান।
দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে ছেলে আইজান, মা, ভাই-বোনসহ বসবাস করছেন শাবনূর। মাঝেমধ্যে দেশে এলেও খুব বেশিদিন থাকেন না। অনেক দিন নতুন সিনেমায় অভিনয় না করলেও শাবনূরের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি। ভক্তদের কাছে তার আবেদন যেন আগের মতোই। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) তার জন্মদিন। বাংলা ইনসাইডারের পক্ষ থেকে রইলো জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন শাবনূর। যেখানে দেখা গেলো, সেজেগুজে গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছেন তিনি। এই ফাঁকেই ভক্তদের কৃতজ্ঞতা জানালেন নায়িকা। তবে কিছু বলার আগে গেয়ে শোনালেন গান। তারই অভিনীত জনপ্রিয় একটি গানের লাইনকে নিজের মতো সাজিয়ে গেয়েছেন নায়িকা- ‘ছোট্ট একটা জীবন নিয়ে পৃথিবীতে কেন বলো আসা, অনন্তকাল ভালোবেসে ফুরাবে না তোমাদের ভালোবাসা’।
এরপরই উড়ো চুম্বন উপহার দিয়ে শাবনূর বললেন, ‘লাভ ইউ অল। লাভ ইউ আমার ভক্ত যারা আছে, লাভ ইউ আমার দর্শকদের, লাভ ইউ আমার বন্ধুদের।’
১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর যশোর জেলার শার্শা উপজেলার নাভারণে শাবনূরের জন্ম। তার আসল নাম কাজী শারমীন নাহিদ নুপুর। নির্মাতা এহতেশামুর রহমান চলচ্চিত্রের জন্য তাকে শাবনূর নামটি দিয়েছিলেন।
১৯৯৩ সালে ‘চাঁদনি রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে আত্মপ্রকাশ করেন শাবনূর। তবে ছবিটি সফলতা পায়নি। কিন্তু নিজের রূপ-অভিনয়শৈলিতে নজর কাড়তে ভুল করেননি তিনি। যার সুবাদে পরের বছরই নায়িকা হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে যান। এরপরের ইতিহাসটা সিনেমাপ্রেমী সব দর্শকের জানা।
এখন পর্যন্ত প্রায় ৮০টির মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনেত্রী ১৯৯৪ সালে ‘রঙিন সুজন সখী’, ১৯৯৫ সালে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ১৯৯৬ সালে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ ও ‘তোমাকে চাই’, ১৯৯৭ সালে ‘আনন্দ অশ্রু’-সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক তারকা খ্যাতি পান শাবনূর। সালমান শাহ'র সাথে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দেন।
এরপরে রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তিনি। তার সঙ্গে ‘মন মানে না’ ও ‘তুমি শুধু তুমি’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’ ও ‘বিয়ের ফুল’ সিনেমাগুলোও অনেক দর্শক জনপ্রিয়তা পায়। সেই সঙ্গে ২০০৫ সালে শাকিব খানের জুটি বেঁধে ‘দুই নয়নের আলো’ ছবিতে অভিনয় করেন। আর এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্যই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।