ইনসাইড বাংলাদেশ

আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার প্রতিবাদও করতে জানি: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশ: 18/12/2022


Thumbnail

আমাদের সহযোগিতা করলে যেমন সম্মান জানাই, আবার আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার প্রতিবাদও করতে জানি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, একাত্তরে মার্কিন সরকার পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও তাদের জনগণ আমাদের পক্ষে ছিল। আমাদের সহযোগিতা করেছে। আমরা পরে তাদের সম্মানিত করেছি। আমাদের সহযোগিতা করলে যেমন সম্মান জানাই, আবার আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে তার প্রতিবাদও করতে জানি।

তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন, খাদ্য দিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ট্রেনিং দিয়েছেন, অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন যাদের সৈনিকরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অকাতরে জীবন দিয়েছেন, সেই ভারত এবং অন্যান্য সহযোগী দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে একটা টাকা রিজার্ভ ছিল না, সব নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তানিরা। কারেন্সিগুলো পুড়িয়ে দিয়ে গেল। যুদ্ধকালীন সময়ে কেউ চাষাবাদ করতে পারেনি। তেমন একটা বিধ্বংস্ত দেশের তিনি (বঙ্গবন্ধু) দায়িত্ব নিলেন। মাত্র ৯ মাসে একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, যারা মনে করে, বাঁশিতে ফু দিল আর দেশে স্বাধীন হয়ে গেলো। এদের আসলে ভূগোল ও ইতিহাসের জ্ঞান আছে কি না সন্দেহ আছে। একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। একটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে। এ বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন ছিল- কীভাবে দেশটা সাজাবেন, প্রতিটি মানুষের জীবনমান উন্নত করবেন, এ জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।

সরকার উৎখাতের আন্দোলনে বাম-ডান মিলেছে, সেদিকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোথায় বামপন্থি আর কোথায় ডানপন্থি। যারা বামপন্থি তারা ৯০ ডিগ্রি ঘুরে গেছে। বাম, স্বল্পবাম ও অতিবাম সবাই এখন জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে মিলে গেছে। এ জন্যই বলা হয়, কী বিচিত্র বাংলাদেশ! যারা ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, দেশের টাকা পাচার, এতিমের টাকা আত্মসাৎ করার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির নেতৃত্বে বড় বড় তাত্ত্বিকরা এক হয়ে যায় কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। কোথায় গেলো তাদের আদর্শ?

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, তারা চেয়েছে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চেয়েছিল।

আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সিমিন হোসেন রিমি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭