মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় নিখোঁজ (গুম) ব্যক্তির সংখ্যা ২ হাজার ১৩৩ জন, যা যুক্তরাষ্ট্রের সবগুলো রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। সেখানে নিখোঁজ (গুম) ব্যক্তির হার প্রতি ১ লক্ষ ব্যক্তির মধ্যে ৭ দশমিক ৬। নিখোঁজ (গুম) ব্যক্তিদের হারের দিক থেকে সর্বোচ্চ হার দেখা যায় আলাস্কায়। সেখানে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে নিখোঁজের (গুম) হার ৪১ দশমিক ৮৭। ‘ন্যাশনাল মিসিং অ্যান্ড আনআইডেন্টিফাইড পার্সন্স’ এর ডাটাবেস অনুসারে এই তথ্য পাওয়া যায়।
এই ডাটাবেসের তথ্য অনুসারে, বছরে ৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ (গুম) হয়। প্রতি বছর প্রায় ৪ হাজার ৪০০টি অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার করা হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ১ লক্ষ মানুষের মধ্যে নিখোঁজের (গুম) হার প্রায় ৬ দশমিক ৫। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিখোঁজের (গুম) ঘটনায় ২০ হাজারেরও বেশি মামলা এবং অজ্ঞাত লাশের ১৪ হাজার মামলা চালু রয়েছে।
২০২২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যে মোট নিখোঁজের (গুম) সংখ্যা ১৫ হাজার ১৭২ জন। যাতে মোট জনসংখ্যার প্রতি ১ লক্ষের মধ্যে প্রায় ৫ জন নিখোঁজ (গুম)। এর মধ্যে প্রধান রাজ্যগুলোতেই নিখোঁজের (গুম) সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ক্যালিফোর্নিয়ার পর ফ্লোরিডায় নিখোঁজের (গুম) সংখ্যা ১ হাজার ২৫২, টেক্সাসে ১ হাজার ২৪৬, অ্যারিজোনায় ৯১৫, ওয়াশিংটনে ৬৪৩, নিউ ইয়র্কে ৬০৬, মিশিগানে ৫৫৬, ওরেগনে ৪৩২, পেনসিলভানিয়ায় ৪০১, টেনেসিতে ৩৬১।
এর আগে, সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে এক হাজারের অধিক মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছে। এছাড়াও এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণাতেও একই তথ্য প্রকাশ করেছে।
ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের উদ্যোগে ২০২১ সালের গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে ‘দ্য লেনসেট’ উল্লেখ করেছে, প্রকৃত সংখ্যা এর দ্বিগুণেরও বেশী হতে পারে। কারণ, নিজেদের অপকর্মের তথ্য অধিকাংশ সময়ই নথিভুক্ত করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভুক্তভোগীর স্বজনরাও অনেক সময় এমন হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মাথা ঘামানোর সাহস করেন না।