ইনসাইড টক

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ হোক সুপরিকল্পিত’


প্রকাশ: 22/12/2022


Thumbnail

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।’ এটি দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেও স্বীকৃত। তবে, র‍্যাগিং, বিতর্কিত মাস্টারপ্ল্যান, প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন, অন্তঃকোন্দল ও আভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ, উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক বরাদ্দে ভাগ বসানোর অভিযোগ ও ছাত্র রাজনীতির নানা উপাখ্যানে প্রায়ই আলোচনা-সমালোচনায় দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম, যা নিয়ে জনমানসেও যেনো কৌতুহলের অন্ত নেই!

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এসব সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি, বিদ্যমান উন্নয়ন কার্যক্রমের সঙ্গে পরিকল্পনার সম্পর্ক এবং পরিষেবা সংক্রান্ত নানাবিধ সমস্যার সম্ভাব্য সমাধান সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় নগর পরিকল্পনাবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সম্মানিত অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. গোলাম মইনুদ্দিন এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ।

বাংলা ইনসাইডার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে বর্তমান যে মাস্টারপ্ল্যান হাতে নেয়া হয়েছে, তা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক রয়েছে। অধিকাংশ বিশেষজ্ঞের মতে চলমান পরিকল্পনায় পরিকল্পনাবিদদের বাদ দিয়ে স্থাপত্যবিদদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য?  

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: আপনার প্রশ্নটি যৌক্তিক এবং সঙ্গত। আমি অন্তত এতটুকু বলতে পারি যে, পরিকল্পনাবিদ হিসেবে এখানে মন্তব্য দেওয়ার সুযোগ আমি পাইনি। এখানে মাস্টারপ্ল্যানে যেটা হয়েছে, সেটাতে আমাকে ডাকা হয়নি। তবে এখানে আমার বিভাগের অন্য কাউকে ডাকা হয়েছে কিনা সেটা আমার জানা নেই।
 
বাংলা ইনসাইডার: ক্যাম্পাসে বর্তমানে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ছোট করে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরীর বিষয়টি খুবই চর্চিত। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ বিকল্প খেলার মাঠ/স্টেডিয়াম তৈরীর কথা জানালেও, বিদ্যমান মাঠ ও কেন্দ্রীয় মন্দিরের জায়গা নষ্ট করে রাস্তা তৈরীর বিষয়টি নিয়ে আপনার মতামত কী?  

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: আমাদের স্পোর্টস কমপ্লেক্সের দরকার আছে। এতো বড় একটা বিশ্ববিদ্যালয়, এটার তো একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স থাকতেই হবে। ইনডোর গেইমগুলো সময় মতো হয় না। সেন্ট্রাল ফিল্ডের সাথেই স্পোর্টস কমপ্লেক্স করতে হবে, সেটিও বোধগম্য। তবে, এটা করার জন্য কি ধরনের ফিজিবিলিটি স্টাডি করা হয়েছে কিংবা আদৌ করা হয়েছে কী না, সেটা আমরা এখনো পর্যন্ত দেখিনি।

যেহেতু এটা একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স, তাই এটা এমন এক জায়গাতে কিংবা ক্লাস্টারে হওয়া উচিৎ, যেনো এর অবস্থান থেকে সকল হল, শিক্ষকদের আবাসিক স্থাপনা এবং ক্ষেত্রবিশেষে একাডেমিক ভবনগুলো থেকে এর যাতায়াতের দূরত্ব সমান হয়। অর্থাৎ এটা একটা সেন্ট্রাল লোকেশনে থাকা দরকার। আমাদের ক্যাম্পাসের আঙ্গিকে দেখলে বলতে হবে, সেন্ট্রাল ফিল্ড পাশে হওয়ার মানে কিন্তু সেন্ট্রাল লোকেশান না। এটা একেবারেই একটা সাইডে হয়ে গিয়েছে। ভেতরের দিকের হলগুলো কিংবা শিক্ষকদের আবাসন থেকে কেউ আসতে চাইলে, তাদের জন্য এটা বেশ দূরবর্তী।
 
বাংলা ইনসাইডার: একইভাবে, মসজিদের পাশে মেয়েদের খেলার জন্য যে মাঠ তৈরীর পরিকল্পনা চলছে, কিংবা বিকল্প আরও একটি রেজিস্ট্রার ভবন নির্মাণের যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য?  

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: মেয়েদের খেলার মাঠ তৈরীর পরিকল্পনা করা হয়েছে, এটা সম্পর্কে এই প্রথম আপনার মাধ্যমেই জানলাম। এটা সম্পর্কে কতদূর কি স্টাডি করা হয়েছে, এটা আমাদের জানানো হয়নি বা আমাদের কাছে এর সম্পর্কে কোন উপাত্ত নেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তা আমাদেরকে দেয় কিংবা আমাদের মতামত জানতে চাওয়া হয়, তবে আমরা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব। বিকল্প আরও একটি রেজিস্ট্রার ভবন তৈরীর ক্ষেত্রে বিবেচনা করা দরকার এখনকার রেজিস্ট্রার ভবনটি অপর্যাপ্ত কিনা! যদি অপর্যাপ্ত হয়, তাহলেই কেবল আরেকটি রেজিস্ট্রার ভবন করা যেতে পারে। যদি অপর্যাপ্ত না হয়, তবে কেন করা হবে, তার জন্য বিস্তর আলোচনা এবং যুক্তিযুক্ত অবস্থান তৈরীর প্রয়োজন আছে।
 
বাংলা ইনসাইডার: বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত প্রবেশাধিকার এর বিষয়টি তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশাধিকারের বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে একজন পরিকল্পনাবিদ ও শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের জন্য গুণগত পরিষেবা নিশ্চায়নে আপনার পরামর্শ?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: এই বিষয়ে আমার সুনির্দিষ্ট অবস্থান রয়েছে। আপনাকে মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় মানে কিন্তু বিশ্বের বিদ্যালয়। আমরা যারা এখানকার ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি, আমরা কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের অংশ। ক্যাম্পাসের সবকিছুতে আমাদের যেমন অধিকার রয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে, ক্যাম্পাসের বাইরের জনসাধারণেরও অধিকার রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে জানার, তা দেখার।

একটা বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে চলে, বিশ্ববিদ্যালয় মানে আসলে কী, এটা দেখার জন্য অনেকেরই আগ্রহ জাগতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের প্রবেশগম্যতার বিষয়টা থাকা উচিৎ। তবে, যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর একটি সম্পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, এখানে আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্নটা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বড় বলে মনে করি আমি। সেক্ষেত্রে, যারা ভিজিটর হিসেবে আসবেন, তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত বা অন্ততপক্ষে পরিচয় লিপিবদ্ধ করে এরপর তাদেরকে ক্যাম্পাসে প্রবেশাধিকার দেয়া যেতে পারে বলে মনে করি।
 
বাংলা ইনসাইডার: বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব না থাকার বিষয়টি কী এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোন ভূমিকা পালন করছে? কিংবা, আপনার মতে আসলে গলদ কীসে?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: বিশ্ববিদ্যালয় স্ট্রাকচারে আসলে যেকোনো বডিরই ফুল রিপ্রেজেন্টেশন নিশ্চিত করা জরুরী। কিন্তু মূল গলদ যে এখানেই, সেটা বলাটা মুশকিল। মুশকিল কেননা, আমি বিগত ২৫ বছর যাবত ক্যাম্পাসে দেখে আসছি, বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম সিদ্ধান্ত আসে। ক্যাম্পাসের ভেতর বা বাহির থেকে যখনই যে সিদ্ধান্তই আসুক না কেন, এগুলোর উপরে যদি একধরনের আলোচনার সুযোগ থাকে, তাহলে হয়তো বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক যেকোনো সিদ্ধান্তে আমরা সবাই-ই আরো অনেক বাস্তবসম্মত বা বিতর্ক এড়ানোর মতো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবো।
 
বাংলা ইনসাইডার: বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে সম্প্রতি রাস্তায় ব্যারিকেড নির্মাণ করা হয়েছে। বারংবার প্রতিবাদ সত্ত্বেও তা মানছে না সংশ্লিষ্ট অনুষদ। শব্দ দূষণের অযুহাত দেয়া হলেও দেখা যাচ্ছে এখন তারা নিজেরাই শব্দ দূষণ করছে যথেচ্ছভাবে। এক্ষেত্রে, একজন পরিকল্পনাবিদ ও ক্যাম্পাসের শিক্ষক হিসেবে এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: এটা ঠিক যে শব্দ দূষণ হয়। বিশেষ করে ব্যাটারি চালিত ইজি বাইকগুলোর জন্য কিংবা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আন্দোলন-মানববন্ধন কর্মসূচি, মিছিল ইত্যাদির কারণেও নতুন কলার সামনে শব্দ দূষণ হয়। কিন্তু অন্য একাডেমিক ভবনগুলোর তুলনায় নতুন কলা ভবনের একটা বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এটা রাস্তা ঘেষে তৈরী করা।

তাই, শব্দ দূষণ দূর করতে গেলে একটা অপশন হয়তোবা এরকম হতে পারে যে, রাস্তা ঘেষে যে ক্লাসরুম বা শিক্ষকদের রুম গুলো আছে, সেই রুমগুলোর ভেতরে ‘সাউন্ড এবজরবার’ লাগানো। এটা খুব বেশী কস্টলি না। এটা থাকলে যেটা হয়ে যে, যেকোনো ধরনের নয়েজ এভজরব করে নিতে পারে।
 
বাংলা ইনসাইডার: জাবি ক্যাম্পাস শীতকালীন পাখির জন্য বিখ্যাত। কিন্তু, চারদিকে শব্দ দূষণ, মানুষের সমাগম, উচ্চস্বরে গান-বাজনা সহ নানাবিধ কারণে এই বিষয়টি কী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে না? কীভাবে এই সমস্যার পরিত্রাণ করা যেতে পারে?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪ ঘন্টাতে নানা ধরনের শব্দ হবে। যখন ক্লাস চলবে, প্রাণচাঞ্চল্যতা থাকবে, তখন একধরনের শব্দ হবে। আবার রাতের বেলা অন্য ধরনের শব্দ হবে। উচ্চ শব্দে গান বাজনার ব্যাপারে আমার মনে হয় এটা নিয়ে আরেকটু গবেষণার প্রয়োজন আছে। আমরা যে ধরনের পরিযায়ী পাখি দেখছি, শব্দের প্রতি এদের আচরণ কেমন, তা দেখতে হবে। এরা শব্দে ভয় পাচ্ছে কি না? বা শব্দ তাদের জন্য ক্ষতিকর কি না! এ ধরনের গবেষণার প্রয়োজন আছে। এখন সারা বিশ্বেই এ ধরনের গবেষণা হচ্ছে। আমাদের লাইফ সায়েন্স ফ্যাকাল্টিও এ ধরনের গবেষণা করতে পারে।

আমি যেটা দেখেছি বিগত বছরগুলোতে, এখানে অনেক ভিজিটর আসেন পাখি দেখার জন্য। তারা সেখানে বিভিন্ন প্যাকেটজাত খাবার নিয়ে আসেন। সেখানে ডাস্টবিন থাকলেও তারা উচ্ছিষ্ট প্যাকেট লেকের পানিতে ফেলে দেন। তো এসব প্লাস্টিক বর্জ্য কখনো তো বিলীন হয়ে যাবে না কিংবা অটোমেটিক এভজরব হয়ে যাবেনা। ফলে এগুলো আসলে জীববৈচিত্র্য, পানি, মাটির গঠনগত চরিত্রের জন্য ক্ষতিকর। এটা আমার কাছে বড় সমস্যা বলে মনে হয়।
 
বাংলা ইনসাইডার: সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা দেখা যায়। ক্যাম্পাসের শিক্ষক হিসেবে নিজ ছাত্রদের এভাবে লড়তে দেখে আপনি কতটা ব্যথিত?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: ক্যাম্পাসে যারা আছে, তারা সবাই ম্যাচিউরড। পরিপক্ব মানুষদের এমন অপরিপক্ব আচরণ সবাইকে ব্যথিত করে।
 
বাংলা ইনসাইডার: একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি, ঢাকা শহরের সাথে জাহাঙ্গীরনগরের সংযোগ একমাত্র সড়কপথে দেখতে পাই আমরা। নদীপথ বিদ্যমান থাকলেও তা ব্যবহৃত হচ্ছে না। এক্ষেত্রে, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনেককেই শাটল রেল বা একটি বিকল্প রেল ব্যবস্থার দাবি জানাতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে আপনার মতামত?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: আমি যতদূর জানি, মেট্রোরেলের একটা এক্সটেনশন সম্ভবত ২০৩৫ সাল নাগাদ হেমায়েতপুর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পর্যন্ত আসবে। আমি জানি না বিষয়টি কতখানি সত্য। যদি এমনই সিদ্ধান্ত হয়ে থাকে, তবে তো সমস্যার সমাধান হয়েই গেলো। আমি মনে করি না এখানে যে নদীপথটা আছে, সেটা আদৌ ব্যবহারের উপযুক্ত। নদীপথের নামে আমরা ঢাকার আশেপাশে যা দেখি, এগুলো একটু বড় সাইজের ড্রেনেজ ছাড়া আর কিছুই না।
 
বাংলা ইনসাইডার: পরিকল্পনাবিদ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে দশ বছর পর কীভাবে দেখতে চাইবেন? নির্দিষ্ট করে বলতে, সবুজঘেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক কোন গুণগত পরিবর্তনটি আপনার কাঙ্ক্ষিত বা কাম্য?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: আমি পরিকল্পনাবিদ হিসেবে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় এক ধরনের পরিকল্পনার ছাপ দেখতে চাই। পরিকল্পনা মানে হচ্ছে, এখানে উপযুক্ত যুক্তি ব্যবহার করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। যেটা জনপ্রিয়, সেটাকেই গ্রহণ করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। আমার যুক্তি কি বলে, আমার কন্টেক্সট কি বলে, সেটা আমাকে জানতে হবে। সেটা যদি আমি জানতে পারি, বুঝতে পারি এবং জাজ করতে পারি, তাহলে সেটাই আমার কাছে কাম্য। সিদ্ধান্ত গ্রহণ হওয়া উচিৎ আমাদের দৃষ্টির সম্মুখে।
 
বাংলা ইনসাইডার: সর্বশেষ প্রশ্ন, একজন পরিকল্পনাবিদ হিসেবে আপনি বাংলাদেশকে আগামী দশ বছর পর কোন অবস্থানে দেখতে চান?

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: আমি বাংলাদেশকে অবশ্যই একটি উন্নত দেশের কাতারে দেখতে চাই। যেখানে আমাদের বৈষম্য থাকবে না। আয়ের বৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে আমাদের সকলেরই হবে। সবচাইতে বেশি চাইবো, আমরা সবাই যেনো প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে উঠতে পারি। লিখতে-পড়তে পারার শিক্ষিত না, আমাদের বুঝতে পারার শিক্ষিত হওয়া দরকার। এটাই একজন পরিকল্পনাবিদ হিসেবে আমার চাওয়া।
 
বাংলা ইনসাইডার: ধন্যবাদ আপনাকে।

অধ্যাপক ড. গোলাম মইনুদ্দিন: আপনাকেও ধন্যবাদ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭