ইনসাইড আর্টিকেল

বিএনপির জন্য লজ্জা এবং করুণা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 08/02/2018


Thumbnail

বেগম জিয়া জেলে যাবার পর বিএনপির প্রতিক্রিয়ায় হতাশ হয়েছেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তারা বলেছেন, ‘এত অসহায় আত্মসমর্পন অবিশ্বাস্য।’ বিএনপির জন্য তাঁরা করুণা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেছেন, ‘লজ্জিত’।

বিএনপির অন্যতম থিংক ট্যাংক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহামুদুর রহমান। তিনি রায় শুনেছেন এক আত্মীয়র বাসায়। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক আবদাল আহমেদ। বেগম জিয়াকে যখন জেলে নিয়ে যাচ্ছিল তখন বিএনপির কোনো প্রতিবাদ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেন, বেগম জিয়ার সাবেক জ্বালানী উপদেষ্টা। তিনি সহকর্মী সংবাদ কর্মীকে বলেন, ‘বিএনপি কি এতই অক্ষম এবং দেউলিয়া হয়ে গেলো। তিনি বলেন,‘জামাতও তো তাঁদের নেতার রায়ের পর এর চেয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।’ তিনি আবদালকে বলেন, ‘আমি নিজেই লজ্জা পাচ্ছি।’ 

বিএনপির আরেক থিংক ট্যাংক শফিক রেহমান। শফিক রেহমান রায় শুনেছেন তার বেইলী রোডের বাসায়। তাঁর সঙ্গে ছিল তাঁর কয়েকজন সহকারী। রায়ের পর তিনি বলেন, ‘একটা প্রতিবাদ করার শক্তিও দলটির নেই। এই দলটা ১০ বছর ক্ষমতায় ছিল?’ তিনি এই ঘটনায় বিএনপি একটি মূল্যহীন রাজনৈতিক দলে পরিণত হলো বলে মন্তব্য করেন বলে জানা গেছে।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী রায়ের খবর শোনেন, তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বসে। তাঁর সঙ্গে ছিল কয়েকজন চিকিৎসক। রায় হবার পর বেশ কিছুক্ষণ তিনি বিএনপির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। রিজভীর কান্না দেখে বিরক্ত ডা. জাফরুউল্লাহ তাঁর সহকর্মী ডাক্তারকে বলেন, ‘ব্যাটা কাঁদে কেন? ব্যাটা কি রাজনীতি করতে এসেছে না যাত্রাপালা?’ তিনি বলেন, ‘জানো বিএনপির জন্য করুণা হয়।’ বেগম জিয়া তো জানতেন তিনি অ্যারেস্ট হবেন, তাহলে তাঁর দিক নির্দেশনা কি? বিএনপি কীভাবে চলবে?’ হাসতে হাসতে জুনিয়ার ডাক্তারের পিঠ চাপড়িয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা দাবায় জিতেছেন।’

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭