কালার ইনসাইড

১২৮ জন নারীকে বাঁচিয়ে দেশে ফেরত পাঠিয়েছিলেন সুনীল শেঠি!


প্রকাশ: 24/12/2022


Thumbnail

 বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা  সুনীল শেঠি। নব্বইয়ের দশকের বেশ নামকরা তারকা তিনি। উপহার দিয়েছেন একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। অভিনয় ছাড়াও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডেও অবদান রাখেন তিনি। তবে এই তারকার একটি দুঃসাহসিক ঘটনা অনেকেই হয়তো জানে না। ১২৮ জন নারীকে যৌন পাচারের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেপালে তাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন বাস্তব জীবনের এই হিরো!

ঘটনাটা ১৯৯৬ সালের। পুলিশ এবং সমাজকর্মীরা পুরো কামাথিপুরাকে ঘিরে ফেলেছিল। কামাথিপুরা মুম্বাইয়ের সবচেয়ে বড় রেড লাইট এরিয়া। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এমনকি বিদেশ থেকেও মেয়েদের নিয়ে এসে এখানো যৌন ব্যবসা করানো হয়। ১৯৯৬ সালে একটি বিশেষ অভিযানে কামাথিপুরা থেকে প্রায় ৪৫৬ জন নারীকে উদ্ধার করা হয়েছিল। যার মধ্যে ১২৮ জন নারী ছিলেন নেপালের বিভিন্ন অঞ্চলের। তাদের জোরপূর্বক তুলে আনা হয়েছিল। তবে তাদের উদ্ধারের পর নেপাল সরকার এই নারীদের ফেরত নিতে অনীহা প্রকাশ করে, কারণ তাদের জন্ম পরিচয়পত্র বা নাগরিকত্ব কার্ড ছিল না। তখনই তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন সুনীল শেঠি। তিনি উদ্ধার করা ১২৮ জন নারীর জন্য কাঠমুন্ডুর বিমানের টিকিট কেটে দেন। সার্বিক ব্যবস্থা করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠান।

সম্প্রতি সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা স্মরণ করেছেন অভিনেতা। ভারতীয় বিনোদন পোর্টাল বলিউড হাঙ্গামাকে সুনীল বলেছেন যে সেই ঘটনার উপর একটি সম্পূর্ণ ফিল্ম তৈরি করা যেতে পারে। এটি ছিল দুর্দান্ত একটি কাজ। অবশ্য ১২৮ জন নারীর প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নিতে অস্বীকার করেন অভিনেতা।  এই অপারেশনের জন্য মুম্বাই পুলিশ এবং তার শাশুড়ি ভিপুলা কাদরিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সুনীল শেঠির শাশুড়ি ভিপুলা কাদরি ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা এবং তৎকালীন সেই অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

অভিনেতা বলেন, এমন অনেক লোক আছে যারা এই দুঃসাহসীক কাজে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে। তবে তাদের নাম হয়তো কেউ মনে রাখেনি। যে নারীদের উদ্ধার করা হয়েছিল তারা সম্ভবত অভিনেতা হিসেবে সুনীলের নাম মনে রেখেছে, কারণ সে জনপ্রিয় একজন। তবে মুম্বাই পুলিশ এবং আমার শাশুড়ি ভিপুলা কাদরিকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এই দুঃসাহসিক অভিযানটি সফল করার জন্য। 

অভিনেতা আরো বলেছেন যে ঘটনাটি তখন মিডিয়াতে সেভাবে আসেনি কারণ উদ্ধার অভিযানে জড়িত প্রত্যেকেই উদ্ধার করা মেয়েদের সুরক্ষাকে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। মিডিয়াকে আড়াল রেখেই এই দুঃসাহসীক অভিযানটি সম্পন্ন করা হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদও জানান অভিনেতা।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭