ইনসাইড ইকোনমি

‘বাসায় লেবুগাছ লাগাব’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 09/02/2018


Thumbnail

‘বাসায় লেবুগাছ লাগাব। এতে বাসায় লেবুর যেমন সুঘ্রাণ পাওয়া যাবে তেমনি চল্লিশ টাকা হালিতে লেবু কিনতে হবে না।’
পরের কথাগুলো আক্ষেপের সুরেই বলছিলেন মোহাম্মদপুর টাউন হলে শুক্রবার বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি। ওই বাজারে আকৃতিভেদে লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।

মোহাম্মদপুর কাদেরাবাদ হাউজিং থেকে বাজার করতে আসা ওই ব্যক্তি বলেন, লেবুর দাম এখন ডিমের চেয়ে বেশি। কী হচ্ছে সবজির বাজারে? 
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতকালীন বাহারি শাকে ছেয়ে গেছে। সাজানো থরে থরে। আঁটি বাঁধা তরতাজা পালংশাক, পুঁইশাক, লালশাক, লাউশাক, মুলাশাক, হেলেঞ্চা, সর্ষে ও মটরশুটি শাক পাওয়া যাচ্ছে । দামও তুলনামূলক কম। বেশিরভাগ শাক মিলছে পাঁচ থেকে সাত টাকার মধ্যে। তবে লাউশাক ও পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। শীতকালীন এসব শাক পেয়ে আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা।



পান্থপথ থেকে হাতিপুল কাঁচাবাজারে আসা গৃহিনী উর্মিলা জাহান বলেন, শীতের মৌসুমে এসব শাক বেশি পাওয়া যায়। দামও খুব কম।  তাই পরিবারের জন্য প্রায়ই সময় শাক কেনা হয়।

শুক্রবারে সবজির চাহিদা বেশি থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচের দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রয়েছে। তাই কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজধানীবাসী।

বাজারে ঘুরে দেখা যায় রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ছোট আকারের প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে। ২০ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া বড় আকারের ফুলকপির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা।

পাতাকপির দাম কত কয়েক দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে । গত কয়দিন ধরে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া পাতাকপির দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া শিম পাওয়া যাচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে। টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরের মধ্যে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫ থেকে ২০০ টাকা কেজি।

গত সপ্তাহের মতোই ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে শালগম (ওলকপি)। এছাড়া বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ১৫ থেকে ২০ টাকা, টমেটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, শিম ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহেই দেশি ও আমদানি করা পেয়াজের দাম কিছুটা কমে। এখনো সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে অন্য কোনো চালের দাম নতুন করে বাড়েনি। তবে মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৫৬-৬১ টাকার মধ্যে। গত সপ্তাহে এ চালের দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকার মধ্যে।

এছাড়া বিআর-২৮ বিক্রি হয় ৪৮-৫০ টাকায়, পারিজাত বিক্রি হয় ৪৫- ৪৬ টাকা কেজি, নাজিরশাইল ৬৫-৭৮ টাকা কেজি এবং জিরাশাইল ৫৮-৫৯ টাকা কেজি দরে।

কারওয়ান বাজারের লাকসাম ট্রেডার্স এর মালিক মোশাররফ বলেন, পাইকারি বাজারে সব ধরনের মিনিকেট চাল কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে। আর খুচরা বাজারেও এক টাকাই বেড়েছে।

দেশি রসুন প্রতি কেজি ৭০-৮০ টাকার মধ্যে থাকলেও আমদানি করা রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকা বা তারও বেশি বেড়েছে। প্রতি কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়; যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল ৮০-১০০ টাকার মধ্যে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩০-১৩৫ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৭০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৮০০ টকায়  বিক্রি করতে দেখা গেছে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭