বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, প্রতিকূল পরিবেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে মূলত দুটি কারণে। প্রথমত হলো বাংলাদেশের যে সমস্ত পণ্য রপ্তানি হয় বিশেষ করে গার্মেন্টস পণ্য এগুলো দামের। দ্বিতীয়ত হলো এক্সচেঞ্জ রেড নমনীয় হয়েছে। যার কারণে বিদেশীদের কাছে আমাদের পণ্য অনেক সস্তা হয়েছে। আগে হয়তো কোনো পণ্য কিনতে এক ডলার খরচ করতে হতো কিন্তু এখন ৯০ সেন্ডে সেই জিনিসটি কিনছে। ফলে আমাদের পণ্যগুলো প্রতিযোগিতামূলক হয়ে যাচ্ছে। আমাদের পণ্যগুলো কম দামের হওয়াতে বিদেশে এর চাহিদা বাড়ছে।
ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৪৩ দশমিক ২১ শতাংশ। সম্প্রতি ২০২২ সালের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের জন্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ইউরোপ ভিত্তিক পরিসংখ্যান সংস্থা ইউরোস্ট্যাট। অথচ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়া শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রতিকূল পরিবেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে বাংলা ইনসাইডার এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় ড. আতিউর রহমান এসব কথা বলেছেন। পাঠকদের জন্য ড. আতিউর রহমান এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলা ইনসাইডার এর নিজস্ব প্রতিবেদক শান্ত সিংহ।
ড. আতিউর রহমান বলেন, এখন ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ব্যবস্থা একটা চাপের মুখে রয়েছে। এসময় ইউরোপীয়ান এবং আমেরিকানরা খাদ্যশস্যের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। খাবার কিনতে এখন তারা বেশি খরচ করছে এবং অন্যান্য খাতে তারা খরচ কমিয়েছে। এসময় অনেকের আয়ও কমে গেছে। আয় কমলেও পোশাকের মতো অন্তত প্রয়োজনীয় পণ্য তারা কিনবে এবং বাজারের কম দামের পণ্যটিই কিনবে। আর এই জায়গাতে বাংলাদেশ বড় সুবিধা পাচ্ছে। গার্মেন্টস পণ্য কেনার ক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্যগুলোর দামের সস্তা হওয়ায় তারা তাদের সীমিত বাজেটে আমাদের পণ্য ক্রয় করতে পারছে। এছাড়া আমাদের পণ্যের মানও এখন অনেক ভালো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন নতুন নতুন বাজারের সন্ধান করছে। এর জন্য প্রণোদনাও দিচ্ছে বাংলাদেশ। যেমন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, চায়না গুলোতে বাংলাদেশের নতুন বাজার তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস পণ্য এখন বিশ্বের অনেকে দেশে রপ্তানি হচ্ছে।